
ডা: জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী সরকার। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ত্যাগ ও সাহসিকতার জন্য দেশের স্বাধীনতার পর বীরবিক্রম উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। বর্তমানের তিনি চিলমারী উপজলা পরিষদের চেয়ারম্যান একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধেও ১১ সেক্টরের অধীনে তিনি কোদাল কাটি, চিলামারী, কামরজানি, তারবারঘাট ও হাতিয়া সম্মুখ যুদ্ধসহ অনেক গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেন। উলিপুওে হাতিয়ার সম্মুখ যুদ্ধে পায়ে গুলিবৃদ্ধ হয়েছিলেন এই অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী বীরবিক্রম। টকবগে যুবক ১৯৬৯ সালে বি.কম পাশ কওে কর্মেও সন্ধান করছিলেন। চিলমরী উপজেলাধীন রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষীণে ওয়ারী (হাসেরভিটা) গ্রামের মৃত এজাব উদ্দিন সরকার ও মৃত শরিতন নেছার দ্বিতীয় ছেলে শওকত আলী সরকার বিক্রম। ৯ ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। ১৯৭১ সালে সারাদেশে শুরু হয় পাকিস্তনী হানাদার বাহিনীর অত্যাচার –নিপিড়ন আর বাংলার মাটির দখলের যুদ্ধ। মা-বোনদেও বাড়ী থেকে ধওে নিয়ে গিয়ে বাষবিক অত্যাচার চলাতো পাকিস্তানি নবপিচাষরা। চার দিক থেকে ভেসে আসন শুধু গোলাগুলির শব্দ। নিজের আর সংবরন করতে পারেন নি সেই সাহসী যোদ্ধা শওকত আলী। ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ভাষণে স্বধীনতার যুদ্ধে যে দিকনির্দেশনা ছিল তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বাড়ী থেকে নিজ ইচ্ছায় বের হয়ে যান দেশ মাতৃকার সম্ভ্রম রক্ষার্থে তিনি। মুক্তি যোদ্ধা হয়ে নিজের মাতৃভুমিকে স্বাধীন করার ইচ্ছা লালন করে নদী পাড় হয়ে রৌমারী গিয়ে যুদ্ধে যোগদান করেন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চারন করতে গিয়ে শওকত আলী সরকার বলেন সৈদয়পুরে তৃতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টন এক প্লাটুনের বেশি সেনা রকেট লঞ্চার, এলএমজিএস ভারি অস্ত্র নিয়ে গাইবান্ধায় পলাশাবড়ী হয়ে নদীপথে রৌমারী চলে আসি। সেখানে সাদাকাত হোসেন ছক্কু মিয়া ও নুরুল ইসলাম পাপু মিয়ার তত্বাবধানে সুবেদার আলতাফের নেতৃত্বে শুরু হয় যুবকদের প্রশিক্ষণ। এখানে গাইবান্ধা, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধারাও প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন অপারেশনের অংশ নেয়। ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন রৌমারীতে হঠাৎ করে পাক বাহিনীর আগমন সম্ভব না হওয়ায় সেটি ছিল মুক্তিযোদ্ধাদেন প্রতিক্ষনের নিরাপদ ঘাটি। পাক বাহিনি এই অঞ্চরের খবর জানতে পেরে ট্রেন যোগে চিলমারী এসে শক্তঘাটি গড়ে তোলেন। হানাদার বাহীন সেই শক্তঘাটি ভাঙতে ১আগস্ট সুবেদার আলতাফের নেতৃত্ব আমরা চিলমারী সেই পাক ঘাটিতে আক্রমন পরিকল্পনা করি, এরপর গেরিলা অপারেশন করে গাইবন্ধা সুন্দরগঞ্জ থানার আক্রমন করে অস্ত্র লুট করি আমরা। হাতিয়ার সম্মুখ যুদ্ধে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম। শরীরের ক্ষত থাকলেও হৃদয়ের ক্ষত এখন শুকায়নি।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।