
সেবা ডেস্ক: ভারতের রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে উত্তাল আসাম রাজ্য। ভারতের রাজ্যসভায় এই বিল পাস হওয়ার পর থেকেই সেখানকার বাসিন্দারা প্রতিবাদ শুরু করে, যা পরবর্তীতে সহিংসতার রূপ নেয় । এ ঘটনা নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ৫ জন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো অনেকে।
বৃহস্পতিবার কারফিউ, সেনা-আধাসেনার টহলদারি, প্রধানমন্ত্রীর টুইট আর্জি— সব উপেক্ষা করে আসামের বিভিন্ন প্রান্তে নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে হাজারো মানুষ। দোকান, গাড়ি, বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগায় জনতা। এতে তিন আন্দোলনকারী নিহত হন এবং আহত হয়েছেন অনেকে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উত্তেজনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবারই আসামের ১০টি জেলায় ইন্টারনেট সেবা আরও ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া যেখানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে সেই চারটি এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়।
এ সম্পর্কে আসামের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব কুমার সঞ্জয় কৃষ্ণা জানান, আসামের ১০ জেলায় আরো ৪৮ ঘণ্টা ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে এটি কার্যকর হবে।
মুখ্যমন্ত্রীর নিজের এলাকা ছাবুয়ার বিধায়ক বিনোদ হাজরিকার বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। আক্রান্ত হয় মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা শান্তনু ভরালি, বিজেপির মন্ত্রী রঞ্জিত দত্ত, বিধায়ক আঙুরলতা ডেকার বাড়িও। সকালে আসাম গণ পরিষদের গুয়াহাটির আমবাড়ি সদর দফতরে ভাঙচুরও হয়।
মারমুখী জনতাকে ঠেকাতে পুলিশ বহু জায়গায় লাঠি চালায় ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। গুয়াহাটিসহ বেশ কিছু জায়গায় গুলিও চালায় তারা। লালুংগাঁওয়ে পুলিশের গুলিতে ১৩ জন আহত হন। এমনকি তিন জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালেও ভর্তি করানো হয়। চাঁদমারির রেলপথে আগুন জ্বালানো হয়। পাথর ছোড়া হয় ডিজিপি ভাস্করজ্যোতি মহন্তের গাড়ি লক্ষ্য করে। ডিব্রুগড়ের চাবুয়ায় সার্কল অফিস, পোস্ট অফিস, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, জেলা পরিষদ কার্যালয় পোড়ানো হয়।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।