
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ২৬ টাকা দর কেজিতে সরকারি ভাবে ধান ক্রয়ের লক্ষমাত্রা ১৫ শত ১২ টন ।
গত ২০ নভেম্বর আনুষ্টানিকভাবে ধান ক্রয়ের উদ্বোধন করা হলেও এখন পর্যন্ত উদ্বোধনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে ধান ক্রয় কার্যক্রম। উপজেলার সরকারিভাবে ধান ক্রয়ে চলছে ধীরগতি ও ধু¤্রজাল।
বহু জল্পনা কল্পনার মাঝে অবশেষে উপজেলা কৃষি অফিসের প্রদানকৃত তালিকা অনুযায়ী গত ২৭ নভেম্বর বুধবার সদর ইউনিয়নের কৃষকদের লটারী মাধ্যমে ২৪০ জন কৃষক নির্বাচিত করা হলেও একটি বিশেষ চক্রের কারণে আজ ১০ ডিসেম্বরের এসে লটারীর নির্বাচিত কৃষকদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি বা তাদের নিকট হতে ধান ক্রয়ে কোন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়নি।
অথচ লটারী হওয়ার দিন বা পরেই দিন যেখানে তালিকা প্রকাশ করার কথা সেখানে তালিকা হওয়ার পরেও গত কয়েকদিনেও প্রকাশ না করায় সাধারণ কৃষকরা দাবী করেন একটি চক্রকে বিশেষ সুবিধা প্রদানে ও নিজে সুবিধা গ্রহনে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের যোগসাজসে লটারীতে বিজয়ী কৃষকদের নাম কর্তন করে একটি চক্রের মনোনীত কৃষকদের নাম অন্তভুক্ত করার হচ্ছে তাই লটারীতে বিজয়ী কৃষকদের নামের তালিকা অদৃশ্য কারণে প্রকাশ করা হচ্ছে না।
পলাশবাড়ীর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আব্দুল কাদের বকসি জনান,লটারীতে নির্বাচিত কৃষকগণ যে কোন সময় এসে তাদের ধান দিতে পারবে। এতে কোন বাধা নেই আমরা তালিকা অনুযায়ী ধান ক্রয়ে সর্বদা প্রস্তুত।
এবিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মাহবুবর রহমান জানান,লটারীতে নির্বাচিত কৃষকদের তালিকা লটারীর দিনই করা হয়েছে। আমারা সেই তালিকা অনুযায়ী কৃষকদের নিকট হতে ধান ক্রয় করবো। নতুন করে অন্য কোন কৃষককে অন্তভুক্ত করা হয়নি । তবে মৃত ব্যক্তিদের ভিতরে যেসব কৃষক তালিকাভুক্ত হওয়ার বিষয় রয়েছে কমিটির সাথে আলোচনা করে সেগুলো সংশোধন করা হবে। এবং আগামীকাল নির্বাচিত কৃষকদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
উল্লেখ্য, পলাশবাড়ী উপজেলায় সরকারিভাবে ধান ক্রয় স্বচ্ছতা সহিত প্রকৃত কৃষকগণের নিকট হতে ধান ক্রয়ের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ ধান আবাদী কৃষকগণ।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।