
রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বাল্য বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আটক সাহাদুল ইসলাম (২৫) নামে এক বরের ফুলশয্যার রাত কেটেছে থানা হাজতে মুক্তির প্রহর গুনে। পরে পুলিশকে ম্যানেজ করে ১৭ ঘন্টা পর থানা হাজত থেকে ছাড়া পেয়ে সাহাদুল বুধবার দুপুরে নিজ বাড়িতে কণের স্বজনদের দাওয়াত খাইয়েছেন। সাহাদুল ইসলাম উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি গ্রামের সাধু প্রামানিকের ছেলে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উভয় পরিবারের সন্মতিতে সাহাদুল ইসলামের সাথে একই এলাকার ছোট এলাঙ্গী গ্রামের আলম হোসেনের স্কুল পড়–য়া মেয়ের বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। ধুমধাম করে সোমবার রাতেএই বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। সংবাদ পেয়ে সোমবার রাত ৯টার দিকে থানা পুলিশ ছোট এলাঙ্গী গ্রামে ওই বিয়ে অনুষ্ঠানে অভিযান চালায়। এসময় বাল্য বিয়ের অভিযোগে বর সাহাদুল ইসলাম ও কণের বড় বোনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেন পুলিশ কর্মকর্তা আতিকুর রহমান।
এরপর সোমবার রাত ১২টার দিকে কণের বোনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বরকে থানা হেফাজতে রাখা হয়। এদিকে পরের দিন মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে বিশেষ মহলের তদবিরের মাধ্যমে বর সাহাদুল ইসলামকে থানা থেকে ছেড়ে নিয়েছে তার স্বজনরা।
এ বিষয়ে এলাঙ্গী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ তারেক হেলাল বলেন, বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর অনুষ্ঠান থেকে বর সাহাদুল ইসলাম ও কণে ভেবে ভ্রæলক্রমে কণের বড় বোনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেন পুলিশ। পরে মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে বর ও কণের বড় বোনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বুধবার দুপুরের দিকে নতুন আত্মীয়তার সম্পর্কে কণের পক্ষের লোকজন বরের বাড়িতে দাওয়াত খেয়েছেন। তবে এই বিয়ে অনুষ্ঠানের সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, বাল্য বিয়ের অভিযোগে সাহাদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছিল। পরে বাল্য বিয়ে না করার শর্তে মুচলেকা নিয়ে তাকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই বাল্য বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।