
সেবা ডেস্ক: খ্রিষ্ট ধর্মের বড় উৎসব বড়দিন। বড়দিন মানেই সান্টাক্লজ। আট থেকে আশি, বিশেষ করে বাচ্চারা সান্টাক্লজের ফ্যান। শিশুদের ধারণা অনুযায়ী তিনি থলে ভর্তি করে উপহার নিয়ে আসেন ২৪ শে ডিসেম্বর গভীর রাতে। বড়দিনে সান্টার ক্লজের কাছ থেকে পাওয়া চকলেট ও উপহার যেন বাচ্চাদের পরম পাওয়া।
কিন্তু এই সান্টা কে, কোথা থেকেই বা এলো? যেটা নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। তাই আজকের আলোচ্য বিষয় সান্টাক্লজের গল্প।
কে এই সান্টাক্লজ?
সান্টাক্লজের গল্পে সান্টা হলো একজন বয়স্ক দাদু। যার কাঁধে থাকে ঝোলা ভর্তি ব্যাগ, পরনে লাল রঙের পোশাকের পাশাপাশি মাথায় লাল টুপি, চোখে চশমা ও এক গাল সাদা দাঁড়ি।এই সান্টা আসলে সেইন্ট নিকোলাস নামের একজন সন্ন্যাসী। তুরস্কের পাতারা নামক অঞ্চলে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পবিত্রতা ও উদারতার জন্য তিনি খুব জনপ্রিয় ছিলেন।
সেইন্ট নিকোলাস তার সমস্ত অর্থ ব্যয় করতেন গরিব মানুষদের সাহায্য করার জন্য। বলা হয়, অসহায় মানুষদের সহায়তার জন্য তিনি নাকি দেশে দেশে ভ্রমণ করতেন। খ্রিষ্টীয় ধর্মের অন্তর্গত না হলেও সান্টা নামটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সান্টাক্লজের গল্প থেকে জানা যায়, একবার তিনি দরিদ্র পরিবারের তিনটি মেয়ের বিয়ের যৌতুক খরচ বহন করে। বহু বছর ধরে শিশু ও নাবিকদের রক্ষা করায় তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল।
২৪ শে ডিসেম্বর গভীর রাতে ছোট ছেলেমেয়েদের বাড়ি ঘুরে ঘুরে নানা ধরনের উপহার দেয়ার জন্য তিনি বিখ্যাত ছিলেন।
সারকথা:
আজকের সান্টার সঙ্গে সেইন্ট নিকোলাস নামক সান্টার অনেক পার্থক্য। লাল রঙের পোশাক পড়া যে সান্টাক্লজকে আমরা দেখি, তিনি তেমন পোশাক পরিধান করতেন না।
কোথা থেকে এল এই সান্টাক্লজ:
সান্টাকে নিয়ে বাচ্চাদের মনে মাতামাতির শেষ নেই। সান্টার বসবাস বরফে ঢাকা উত্তর মেরু। আটটি বলগা হরিণ টানা বিশাল এক স্লেজ গাড়িতে আকাশে চড়ে বেড়ান তিনি।ক্রিসমাসের সন্ধ্যাবেলায় নর্থ পোল থেকে আটটি বলগা হরিণ টানা স্লেজ গাড়ি চড়ে বাচ্চাদের বাড়ির চিমনি দিয়ে ঢুকে উপহার রেখে যেত।
সান্টাক্লজের গল্প থেকে জানা যায়, তার থলিতে থাকত বাচ্চাদের জন্য আলাদা আলাদা উপহার। যেমন- শান্ত শিশুদের জন্য থাকত চকলেট, খেলনা আরো চমৎকার সব উপহার। পাশাপাশি দুষ্ট বাচ্চাদের জন্য থাকত কয়লার টুকরো। এর পেছনে কারণ হলো শিশুরা যেতে সারা বছর শান্ত হয়ে থাকে।
১৮৮১ সালে থামস নামে একজন আমেরিকান কার্টুনিস্টের আঁকা ছবিতে, সান্তার আটটি বলগা হরিণটানা স্লেজ গাড়ি চড়ে বাচ্চাদের বাড়ি গিয়ে উপহার দেয়ার চিত্র ফুটে ওঠে, এই ছবিটি গোটা বিশ্বে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।