পলাশবাড়ীতে নদী খননের মাটি বাঁধ কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র

S M Ashraful Azom
0
পলাশবাড়ীতে নদী খননের মাটি বাঁধ কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি চক্র
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ১ নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের কেশবপুর ও গণেশপুর মৌজা, দিগলকান্দি মৌজা সহ বেশ কয়েকটি স্থান হতে মাটি আইন লংঙ্ঘণ করে ইটভাটা গুলোতে মাটি বিক্রি করছে একটি স্থানীয় চক্র। এ চক্রটি দীর্ঘদিন হতে ইউনিয়নটি পূর্বঅংশে করতোয়া নদীর এ নালা নদীটির আশ পাশে আবাদী জমি, খাস জমি ও নদী খননের পর নদী পারের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে এ চক্রের লোকজন। আরো জানা যায় অত্র ইউনিয়নের ইটভাটা গুলোসহ উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি গুলো বিক্রি করেন চক্রটি।

এ চক্রের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে স্থানীয় সচেতন মানুষ ও জরপ্রতিনিধিগণ অত্র ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তাকে একাধিক জানিয়ে কোন লাভ হয়নি। বরং অভিযোগকারীদের অত্র এলাকা ম্যাপ সংগ্রহের কথা জানান এই ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

এদিকে বাঁধ কর্তন করে মাটি নিয়ে যাওয়া রাস্তা হিসাবে ব্যবহার করে বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পর এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের বলার পরেও তারা নিরব থেকেছেন। বরং তারা অভিযোগকারীদের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ প্রদান করেই দায়িত্ব শেষ করেছেন।

এ ইউনিয়নের গণেশপুর মৌজার এ খাস জমি হতে ও অত্র এলাকার নদী পার হতে মাটি বিক্রিকারী চক্রের সদস্যরা হলেন গণেশপুর গ্রামের তারা ডাক্তারের ছেলে ১। মিল­াত,মৃত বেলাল সরদারের ছেলে ২। মিলন, খোদ্দটেংড়ার ভোলা শেখ এর ছেলে ৩। লাবলু। দিঘলকান্দি গ্রামের দুলা চেয়ারম্যানের ছেলে সাইনসহ স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামগং।

উপজেলার এই ইউনিয়নটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ যেমন ঝুঁকিতে পরেছে তেমনি আবাদি জমি গুলো হতে মাটি কাটার ফলে অন্যান্য আবাদি জমি গুলো উচু নিচু হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থা কোথাও ৩ হতে ৪ ফিট উচু আবার কোথাও নিচু। আবাদি জমি গুলো হতে মাটি কেটে ভূমির আর্দ্রতা হারিয়ে যাচ্ছে।

এই ইউনিয়নটির দিগলকান্দি,কেশবপুর ও গণেশপুরে ব্যাপক হারে মাটি আইন অমান্য করে মাটি ও বাঁধ কাটার পরেও চক্রটির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করার ব্যাপক হতাশায় ভুগছেন সচেতন মানুষ। তারা জেলার সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top