পলাশবাড়ীতে সংযোগ বিচ্ছিন্নের মামলায় নেসকোর ব্যাপক নাটকীয়তা

S M Ashraful Azom
0
পলাশবাড়ীতে সংযোগ বিচ্ছিন্নের মামলায় নেসকোর ব্যাপক নাটকীয়তা
গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: পলাশবাড়ীতে অবৈধ ও বকেয়াধারী সংযোগ বিচ্ছিন্নের মামলায় নেসকোর ব্যাপক নাটকীয়তা চলমান রয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিদ্যুৎ সাপ্লাই তদারকি কাজে নিয়োজিত একটি প্রতিষ্ঠান নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিঃ গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় গ্রাহকদের অবৈধ ও বকেয়াধারীদের সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে গত দুই মাসে দুটি অভিযানে ২৪ টি মামলা দায়ের করেন বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজ্ঞ ম্যাজিস্টেড ওয়াস কুরুনী । উপজেলার ২৪ জন গ্রাহক বিরুদ্ধে বিভিন্নকারণে বিদ্যুৎ আইনে মামলা গুলো দায়ের করা হয়।

এসব মামলায় সরেজমিনে অভিযুক্তদের ৫ হতে ১০ লক্ষাধিক টাকা জরিমান করা হলেও রংপুর বিদ্যুৎ আদালতে গিয়ে এর জরিমানা অদৃশ্য কারণে ৫০ হাজার বা ত্রিশ হাজার অথবা নিরঅপরাধী হিসাবে ঘোষণা করেন বিজ্ঞ আদালতের বিচারকগণ।

ভোক্তভোগীদের নিকট হতে জানা যায় ,এসব মামলায় দালাল মারফত সংশ্লিষ্ট বিচারকদের উৎকোচ প্রদান করলেই কেবল জরিমানা কমে যায় বা মওকুফ হয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আবাসিক প্রকৌশলী কার্যালয়ে কমৃচারীরা জানান,সরেজমিনে অপরাধী অপরাধে সাবস্ত্য হওয়ার পর আইন অনুসারে মামলা দায়ের হলেও অদৃশ্য কারণে জরিমানার পরিমান  কমে যায় ।

এমনি একজন ভুক্তভোগী পলাশবাড়ী উপজেলা মটর পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সোবাহান বিচ্চু জানান,আমার নামে যে মামলা দায়ের করা হয় সেই মামলায় ১ লক্ষ আশি হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করার ফলে আমার জরিমানা করা হয় মাত্র ত্রিশ হাজার টাকা।

এর আগে জামালপুর গ্রামের মাজেদ প্রধানের নামে একটি মামলা দায়ের হলে গাইবান্ধা জেলা জজ আদালতের মহুরী শাহিন মিয়ায় মধ্যস্থতায় মামলাটি হতে নির্দোষ হিসেবে অব্যহতি পান মাজেদ প্রধান  । এর পর আদালতের রায়ে কপি হাতে পাওয়ার পরে মধ্যস্থকারী শাহিন মহুরীকে দেওয়া ৫০ হাজার টাকা ফিরে পেতে আইনের আশ্রয় নেয় মাজেদ প্রধান । পরে শাহিন মহুরীকে আটক করে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ এরপর পলাশবাড়ী উপজেলার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় রাতেই টাকা ফেরত দিয়ে বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করা হয়। 

এঘটনা গুলোকে কেন্দ্রকরে উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ছিলেন বিভাগীয় তত্বাবধায়ক আশরাফুল মন্ডল ও জেলার নিবাহী প্রকৌশলী ইমদাদুল হক সহ কর্মকর্তাগণ উপস্থিতিতে  এনিয়ে ভুক্তভোগী  গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে গ্রাহকগণ উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তারা সকলেই উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী এসব কর্মকান্ডের সাথে জড়িত বলে দাবী করেন।

এবিষয় গুলো নিয়ে উপস্থিত সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় ও জেলা কর্মকর্তাগণ বিব্রোতবোধ করেন দাবী করে এ বিষয় গুলো উদ্বোর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট জানানো হয়েছে বলে জানান ।

নেসকোর আবাসিক প্রকৌশলী আলীমুল সেলিম জানান,  আমি পলাশবাড়ীতে যোগদানের পর হতে এ পর্যন্ত দুটি অভিযানে ২৪ টি মামলা দায়ে করা হয়েছে। তবে মামলায় এ পর্যন্ত জরিমানার পরিমান কত হয়েছে তা তিনি জানাতে পারেনি বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্টেড এর ফোন বা মোবাইল নাম্বার দিতে রাজি হয়নি।

আরো জানা যায়, আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার উদ্বোর্তন কর্মকর্তাদের আসার খবরে আবাসিক প্রকৌশলী আলীমুল সেলিম  স্থানীয় সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে কর্মকর্তাদের সামনে সাফাই করতে নিয়ে আসেন । সে অনুযায়ী ঘটনার অন্তরালের খবর সংগ্রহ না করে বরং সেই সব সাংবাদিক আবাসিক প্রকৌশলীর পক্ষে সাফাই গান। এর ফল স্বরুপ উপস্থিত কর্মকর্তারাও বলতে বাধ্য হন যে আবাসিক প্রকৌশলীর কথা সবাই ভালো বলছে তাই আপাতত আমরা আবাসিক প্রকৌশলীকে এখান হতে সরাবো না।

উল্লেখ্য , এ ঘটনায় সরেজমিনে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনার রহস্য উৎঘাটন করে অপরাধিদের চিহিৃত করাসহ যথাযথ ব্রবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন এ অঞ্চলের সাধারণ গ্রাহকগণ।


 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top