চাঁদা না পেয়ে বাঁধ ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ

S M Ashraful Azom
0
চাঁদা না পেয়ে বাঁধ ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগ
শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বামের ও ডানের ছড়া লেকের পানিতে উপজেলার জলদী, শিলকুপ, চাম্বল ইউনিয়নের কয়েক শতাধিক একর জমির চাষাবাদ হয়। ২০০৮ সালে বামের ছড়া লেকের বাঁধ ভাঙ্গার পর পুনঃসংস্কার করা হলে বছর আগে বোরো চাষের স্বপ্ন বুনে উপকারভোগী অঞ্চলের ৩ হাজারের অধিক কৃষকেরা। কয়েকমাস আগে স্থানীয় উপকারভোগী চাষীরা শিলকুপের কেলাফকির ছড়ায় বাঁধ দিয়ে চলতি মৌসুমে বোরো চাষের জন্য পানি জমিয়ে রাখে। কিছু দুষ্কৃতিকারী লোক চাষের জন্য রক্ষিত পানির বাঁধ কেটে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন এই এলাকার কৃষকরা। এই নিয়ে স্থানীয় কৃষকরা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ ও মামলা দায়ের করেছেন।

স্থানীয় ও কৃষকদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নে কয়েক শতাধিক একর জমিতে ধানের চাষ হয়ে আসছে। এখানকার উৎপাদিত ধান দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হয়ে থাকে। এই এলাকার সহস্রাধিক  কৃষকদের চাষাবাদের একমাত্র পানি সেচের মাধ্যম হিসেবে শীলকূপ ছড়ার পানি ব্যবহার করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও বোরো মৌসুমকে সামনে রেখে চাষাবাদের জন্য প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ করে শীলকূপ ছড়ার পানি বাঁধ দিয়ে সংরক্ষণ করে রেখেছিল এই এলাকার সাধারণ কৃষকরা। কিন্তু ছড়ার পানি বাঁধ দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখায় কৃষকদের নিকট অনৈতিক ভাবে চাঁদা দাবি করে স্থানীয় কতিপয় দুস্কৃতিকারীর একটা সিন্ডিকেট দল। তারা চাঁদার দাবীতে কৃষকদেরকে প্রায় সময় খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছিল এমনএ অভিযোগ করেন। কৃষকরা তাদের দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় গত ২০ জানুয়ারী দুস্কৃতিকারীর দল ছড়ার বাঁধ কেটে দিয়ে বোরো চাষের জন্য রক্ষিত সমস্ত পানি ছেড়ে দেয়। যার ফলে এখানকার কয়েক শতাধিক একর জমির বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। চাষের জন্য তৈরি বীজতলা প্রস্তুত থাকলেও ভেস্তেগেছে কৃষকের বোরোচাষের স্বপ্ন। এই নিয়ে কৃষকরা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দুস্কৃতিকারীদের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ ও মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে স্থানীয় মো. জাহাঙ্গীর, মো. হোসেন, আনসার উল্লাহ, মো. সেলিম, দিল মোহাম্মদ, মো. বাবুল ও ফজল কাদের বাদশাসহ কতিপয় ব্যক্তি কৃষকদের নিকট থেকে দাবী করা চাঁদা না পেয়ে বোরো চাষের জন্য রক্ষিত ছড়ার পানি বাঁধ কেটে দিয়ে ছেড়ে দেয়। যার ফলে হাজার হাজার কৃষকের চাষকৃত জমি পানি সেচের অভাবে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।এদিকে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ওই দুস্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও মামলা দেয়া স্বত্বেও এ বিষয়ে কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ তুলেছেন কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষক মো. মহসিন, আবু ছিদ্দিক, মোস্তাক আহমদ, মোহছেন আহমদ, আহমদ ছফা, মো. জমির, দেলোয়ার, আলতু হাছান, সুফি আলম, মো. জহির সহ বেশ কয়েকজন কৃষক বলেন, ‘বর্তমান বোরো মৌসুমে চাষের জন্য বাঁধ দিয়ে রক্ষিত শীলকূপ ছড়ার পানি বাঁধ কেটে ছেড়ে দেওয়ার ফলে আমরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। চাঁদার দাবীতে মো. জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে দুস্কৃতিকারীর দল এই বাঁধটি কেটে দিয়েছে। আমরা প্রশাসনের নিকট এর সুষ্ঠু প্রতিকার দাবি করছি।’

‘শীলকূপে বোরো চাষাবাদের জন্য রক্ষিত পানি ছড়ার বাঁধ কেটে দেয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু ছালেক।


 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top