ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে

S M Ashraful Azom
0
ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে
সেবা ডেস্ক: রাজধানীতে অবস্থিত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের কাছে সড়কের পাশে গাছের ঝোপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডিসি সুদীপ কুমার বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশের দু’টি সিসিটিভির ফুটেজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে। এই মামলাটি তদন্তের জন্য মহানগর ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি জানান, ভিকটিমের সঙ্গে রোববার থেকে একাধিকবার ক্যান্টনমেন্ট থানার ওসি ও এসি কথা বলেছেন। ভিকটিমের কথা অনুযায়ী অভিযুক্ত একজন। ভিকটিমের বাবা এরইমধ্যে একজনের কথা উল্লেখ করেই মামলা করেছেন বলেও তিনি জানান। তবে ডিবি উত্তরের ডিসি মশিউর রহমান মামলার হস্তান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও মামলার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তিনি আরো জানান, আমরা ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি আসামী তার পূর্ব পরিচিত নয়, তবে তাকে দেখলে চিনতে পারবে বলে আমাদের জানিয়েছেন তিনি।

সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, আমরা সার্বিক তদন্তের চেষ্টা করছি। ভিকটিম ঢাকা মেডিকেল কলেজে আছে। আমরা অপরাধীকে খুঁজে বের করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।

এদিকে, নিপীড়নের শিকার ছাত্রী শারীরিক ও মানসিকভাবে এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন। দু'একদিনের মধ্যে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

এর আগে, ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে রাতে হাসপাতালে ছিলেন ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। এ বিষয়ে তিনি এবং ভুক্তভোগী ছাত্রীর বন্ধুরা গণমাধ্যমে কথা বলেছেন।
তাদের বিবরণ অনুযায়ী, রোববার সন্ধ্যা ৭টায় কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামার পর থেকে শেওড়ার যে বন্ধুর বাসায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলেন সেই বন্ধুর বাসায় পৌঁছানো পর্যন্ত তার সময় লাগে মোট সাড়ে তিন ঘণ্টা। এই সময়ের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঠিক কতক্ষণ তিনি জ্ঞান হারিয়েছিলেন তা বলতে পারেননি। তবে জ্ঞান ফিরে আসার পর বুঝতে পারেন, ঘণ্টাদুয়েক পার হয়েছে এবং ধর্ষক তখনো ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল।

ওই ছাত্রীর বর্ণনায় ঘটনার বিবরণে সাদেকা হালিম বলেন, সামনে পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করতে বান্ধবীর বাসার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল সে। তার সঙ্গে বাড়তি পোশাক ছিল, পড়ালেখার বই-নোটস আর প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্রও ছিল।

মেয়েটির বিবরণীতে ধর্ষক একজনই ছিল। দেখে মনে হচ্ছিল সিরিয়াল কিলার। ঠাণ্ডা মাথায় যে ধর্ষণের মতো অপরাধ ঘটিয়েছে একাধিকবার। কারণ মেয়েটিকে সে জোর করে পোশাক পরিবর্তন করিয়েছে, আবার ধর্ষণ করেছে।

ভিকটিম জানিয়েছে, ধর্ষক তার পরিচয় জানতে চেয়েছে বারবার। মেয়েটি আন্দাজ করছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় পেলে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে। তাই সে মুখ খোলেনি।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের এ ঘটনায় সোমবার কুর্মিটোলায় ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে র‍্যাব ও ডিবি। সেখানে গলফ ক্লাবের বাইরের দিকে একটি ঝোপের মধ্যে কিছু আলামত পেয়েছে তারা। সেখানে একটি হাতঘড়ি, চাবির রিং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাগজপত্র, জুতা ও ফাইল পড়ে ছিল। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল ওষুধসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। পড়ে ছিল একটি কালো জিন্স প্যান্ট।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top