সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরস্থ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। খবর বাসস'র
প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদীতে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণের পর স্বাধীনতার এই মহান স্থপতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অংশ হিসেবে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা দলের নেতাদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদীতে আরেকটি পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
এরপর একে একে আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন সহযেগী সংগঠন যেমন মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর এবং দক্ষিণ, যুব লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ, কৃষক লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করা হয়। ফুলে ফুলে ভরে ওঠে জাতির পিতার প্রতিকৃতির বেদী।
১০ জানুয়ারি বাঙালির জীবনে চিরস্মরণীয় এক ঐতিহাসিক দিন। ১৯৭২ সালের এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করে তার প্রিয় স্বদেশ, স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। আর এর মাধ্যমেই ১৯৭১’র ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের মহান বিজয়ের পূর্ণতা লাভ হয়। সেই থেকেই এ দিনটি জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে।
তবে এবার উদযাপনে ভিন্নতা নিয়ে এসেছে ‘মুজিববর্ষ’। এ বছর ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী থেকে আগামী বছর ২০২১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করে বছরব্যাপী জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে উদযাপন তার ‘ক্ষণগণনা’ (কাউন্টডাউন) শুরু হচ্ছে আজ থেকেই। বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্যারেড স্কোয়ারে প্রধানমন্ত্রী এবং জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা এই ‘ক্ষণগণনা’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।