সেবা ডেস্ক: আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে হাতিরঝিল এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রফতানিকারকদের সংগঠন- বিজিএমইএ’র ভবন ভাঙার কার্যক্রম।
আজ মঙ্গলবার গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বুধবার সকাল ১০টায় বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। এটির উদ্বোধন করবেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
এর আগে গত ১৬ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবন খালি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালামাল সরিয়ে নেয়া হয়। ওই দিনই ভবনের নিয়ন্ত্রণ বুঝে নিয়ে রাজউক কর্মকর্তারা মূলফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
ভবন ভাঙার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দেয়। সর্বোচ্চ দরদাতা (১ কোটি ৭০ লাখ টাকা) হিসেবে সালাম অ্যান্ড ব্রাদার্সকে চূড়ান্ত করা হয়। তবে শেষ মুহূর্তে সরে যায় প্রতিষ্ঠানটি।
পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা ফোরস্টার এন্টারপ্রাইজকে চূড়ান্ত করা হয়। ঠিক হয় ভাঙার পর বিভিন্ন সামগ্রীর জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান রাজউককে ১ কোটি ৫৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেবে।
১৯৯৮ সালের ২৮ নভেম্বর বিজিএমইএ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। নির্মাণ শেষ হলে ২০০৬ সালের ৮ অক্টোবর ভবনটির উদ্বোধন করা হয়। ১৬ তলার এই ভবনে মোট আয়তন ২ লাখ ৬৬ হাজার বর্গফুট।
তবে বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠন শুরুতেই অভিযোগ করে, মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না নিয়ে, উন্মুক্ত স্থান ও প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন-২০০০ ভঙ্গ করে বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এমন খবর গণমাধ্যমে এলে ২০১০ সালের ৩ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ স্ব:প্রণোদিত হয়ে রুল দেয়।
চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে বিজিএমইএকে নিজস্ব অর্থায়নে ভবনটি ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে বলা হয়। এর দুই বছর পর ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ হাইকোর্টের ৬৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।