বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি : জামালপুর বকশীগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় মাওলানা মো.নুরনবী নামে একজন ইমামকে রড দিয়ে পিটিয়েছে এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাইয়েরা। আহত ইমামকে তাকে বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিকালে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের দাসের হাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেন নি।
হামলার শিকার মওলানা নুরনবী উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের মাঝের পাড়া গ্রামের মৃত মফিজুল হকের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়নের খেতারচর বটতলা জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে কমরত মওলানা নুরনবী দাসের হাট বাজারে একটি ওষুধের দোকান দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও খানপাড়া গ্রামের ভুল খানের ছেলে ফারুক খানের চাচাতো ভাই লাল ফকির খান মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে দোকানটিতে যান। এ সময় ওষুধের বকেয়া টাকা চাইলে নুরনবীর সাথে তর্কাতর্কি হয় লাল ফকিরের।
কিছুক্ষণ পর ফারুক খানের নেতৃত্বে ১০/১২ জন দোকানের ভেতরে ঢুকে নুরনবীকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে যায়। স্থানীয়রা নুরনবীকে উদ্ধার করে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
পরে রাতে ৮ জনকে আসামিকে করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মওলানা নুরনবী ।
সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম বাবু বলেন, ‘ফারুক খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই।
তার নেতৃত্বে এলাকায় বিভিন্ন স্থানে অপকর্ম হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি। ইমামকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় জড়িতদের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান।'
বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. হযরত আলী বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমি নিজে ভিকটিমকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে ফারুক খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করায় বাদী মওলানা নুরনবীর ভাই জিন্নাহ মোল্লাকে হুমকি দিয়েছেন ফারুক খানের লোকজন ।
বুধবার দুপুরে দাসেরহাট বাজারে জিন্নাহ মোল্লাকে হুমকি দিয়ে অভিযোগ প্রত্যহারের চাপ দেন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।