শামীম তালুকদার: পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে আলোচনা সমালোচনা থাকলেও অগ্রগতি নিয়ে সবার সন্তুুষ্টি রয়েছে। সেজন্য সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম হিসেবে এসডিজি বাস্তবায়নে সক্রিয় অবস্থান সরকারের।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বেসরকারি খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।সরকারের সাবেক তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী এবং এসডিজি বিষয়ে আন্তজাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্বকারী ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেশের মাথাপিছু আয়,শিশু ও মাতৃমৃত্যহার কমানো,বেসরকারীখাতে উন্নয়ন সরকারের সাবির্ক পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরেন।
সরকার এমডিজি যেভাবে সফলতার সহিত অর্জন করেছে তারই ধারাবাহিকতায় এসডিজি বিষয়ে বিস্তৃত পরিসরে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক কর্মকৌশল ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে। যার সুফলও আসতে শুরু করেছে বলে জানান।এ ক্ষেত্রে বেসরকারী খাতের সম্পৃক্তকরণে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে।
সিপিডির এ সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এতে অংশ নেন অর্থনীতিবিদ, সাবেক আমলা, এনজিও কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা। অনুষ্ঠানে ‘ফোর ইয়ারস অব এসডিজিস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
এসডিজি অর্জনে জাতীয় সংসদে আলোচনা আরো বৃদ্ধির কথা তুলে ধরেন সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, বছরে দুই বার এসডিজি অর্জন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হলে এ অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন করা আমাদের জন্য সহজ হবে। এসডিজি অর্জনে সরকারি-বেসরকারি সব সংস্থাকে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন ও সামাজিক দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে আরো বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, সাধারণভাবে আমরা সর্বজনীন শিক্ষা, দক্ষতা বৃদ্ধি, নারীর ক্ষেত্রে বৈষম্যে ও তরুণদের শিক্ষার কথা বলে থাকি। তবে যে শিক্ষা বাজারমুখী নয়, তা সনদ অর্জন ছাড়া আর কিছুই নয়। শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাজারমুখী করতে হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কতজন ভর্তি হয়, এ সংখ্যা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে না থেকে সরকারের উচিত উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্ব দেয়া।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, বৈষম্য কমানো না গেলে টেকসই উন্নয়ন অসম্ভব। যদিও এ সময়ে তুলনামূলক ভালো এগিয়েছে শিক্ষার মান সূচক। তবে সরকারের নীতি ও উন্নয়ন কৌশলে এখনো বড় ঘাটতি রয়ে গেছে, যা কমাতে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করা জরুরি।
সিপিডির এ সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন,অর্থ পাচারের পরিমাণ বাড়ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ তা ১ হাজার ৪১৩ কোটি ডলারে পৌঁছবে বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
উল্লেখ্য প্রধান অতিথির বক্তব্য শুরুর আগে ড:দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আবুল কালাম আজাদকে সিপিডির অনেক পুরাতন বন্ধু হিসেবে জানান এবং বরাবরের মত অন টাইমে অনুষ্ঠানে আসার জন্য করতালির মাধম্যে শুভেচ্ছা জানান একই সাথে যে কোন পরিকল্পনা নিয়ে উনার নিকট গেলে সবি আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেন বলে জানান।।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।