শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা হতে কুতুবদিয়া দরবারে বার্ষিক ওরশ শরীফ যাওয়ার পথে গন্ডামারা খাটখালী সাগর মোহনায় ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৩ জনের মধ্যে ১জনের হদিস মেলেছে। এ নিয়ে এপর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪জন।
আজ শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫ টা রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ে ফিশিং বোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজের তিন দিন পর গন্ডামারা জলকদর খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় মু. লেদু মিয়া (৭০) নামে একজন বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। উদ্ধারকৃত লাশ খানখানবাদ ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের ডোংরা গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা যায়।
গত বুধবার পৃথক ২টি ফিশিং ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু সহ ২৫ থেকে ৩০ জনের মতো আহতের ঘটনা ঘটে। এতে নিখোঁজ ছিল ৩জন।বঙ্গোপসাগরের খাটখালী মোহনা সহ আশপাশের সাগর এলাকায় স্থানীয় মাঝিমাল্লাদের নিয়ে এখনো ৩ থেকে ৪টি ফিশিং বোট উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় মাঝিমাল্লারা।
নিখোঁজের ও মৃত পরিবারের স্বজনদের আহজারিতে উপজেলার খানখানাবাদ ও কাথরিয়া ইউপিসহ বিভিন্ন এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠছে। নিখোঁজ বিষয়ে বাঁশখালী থানায় বৃহস্পতিবার খানখানাবাদের স্কুল ছাত্র মু. আরমানের চাচাত ভাই মো.নুরুল আমিন বাদী হয়ে নিখোঁজ ডায়েরী দায়ের করেন।
নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ অপর ২জন হলেন- খানখানবাদ ইউপির ৬নং ওয়ার্ডের ডোংরা গ্রামের হাসান শরীফের পুত্র স্কুল পড়ুয়া ছাত্র মু. আরমান (১৪) ও একই ইউপির কদম রসুল গ্রামের মো. জালাল উদ্দীন (৫২)।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) কাথরিয়া থেকে সকাল ৯টায় ও খানখানা বাদ থেকে সকাল ১০ টায় কুতুবদিয়ার দরবারের উদ্দেশ্যে বোট দুটি রওনা দেন। সকাল ১০ টার দিকে কাথরিয়া জলকদর খালে ও গন্ডামারার খাটখালী মোহনায় সংগঠিত পৃথক ট্রলার ডুবির ঘটনা দুটি ঘটে। ট্রলার ডুবির ঘটনায় ওই দিন ৩ জনের মৃত্যু ও ২৫ থেকে ৩০ জনের অধিক আহতের ঘটনা ঘটেছিল। শুক্রবার নিখোঁজ হওয়া ৩জনের মধ্যে ১জনের মৃত দেহ উদ্বার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঁশখালী থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মু. রেজাউল করিম মজুমদার গন্ডামারা জলকদর খাল থেকে লেদু মিয়া নামের একজন বৃদ্ধার মৃত দেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিৎ করেন।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।