
সেবা ডেস্ক: নাটোরে একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি কমেছে ৪০ টাকা। গতকাল শুক্রবার যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে সেই পেঁয়াজ আজ শনিবার ৪০-৪৫ টাকায় নেমে এসেছে।
নাটোরের নিচাবাজারসহ নলডাঙ্গা হাটে আজ এ চিত্র দেখা গেছে। এতে পেঁয়াজ চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে।
কৃষকরা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার খবরে নাটোরের নলডাঙ্গা শনিবার হাটে পেঁয়াজ পাইকারী প্রতিকেজিতে দাম কমলো প্রায় ৪০ টাকা।
সকালে নাটোর নিচাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয় কেজি প্রতি ৪৫-৫০ টাকায়। এখন পাইকারী প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়।
সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও হঠাৎ এ দরপতনে হতাশ পেঁয়াজ চাষিরা। অনেকদিন যাবত আকাশচুম্বী দাম থাকার পর কৃষকরা ভেবেছিল এবার তারা গতবারের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। কিন্তু বাজারে এমন ধস নামায় তাদের ভেতর আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বাশিলাগ্রামের কৃষক আবু হেনা মোস্তফা কামাল মন্ডল ও শফি মন্ডল জানান, আজকে এত দাম পড়ে যাবে জানলে পেঁয়াজ উঠাতাম না। ধারণা ছিল পেঁয়াজের দাম সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১৫ টাকা কমতে পারে।
আজকের হাটে এত দাম পড়ে যাবে কল্পনাও করতে পারিনি। গত বছর ভরা মৌসুমে ৫ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এবার ভেবেছিলাম সেই ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে পারব।
কৃষক মশিউর রহমান সরকার জানান, সরকার এই মুহূর্তে বাজার নিয়ন্ত্রণ না করলে প্রান্তিক চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এখনই সিদ্ধান্ত না নিলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
আরেক কৃষক বদর উদ্দিন জানান, এবার পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচ অনেক বেশি পড়েছে। এবার পেঁয়াজের বীজ কিনতে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। সেই তুলনায় দাম কেজিতে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে থাকলে কৃষক কিছুটা স্বস্তি পেতো।
এদিকে নাটোর শহরের কানাইখালী এলকার বাসিন্দা তাপস কুমার নামে এক ক্রেতা স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, এতদিন পেঁয়াজ কম খেয়েছি। অনেক সময় পেঁয়াজ ছাড়াই তরকারি রান্না করতে হয়েছে। এই দাম থাকলে তাদের খুব একটা সমস্যা হবে না।
এ বিষয়ে নলডাঙ্গার ইউএনও মো. সাকিব-আল-রাব্বি জানান, নতুন পেঁয়াজ উঠার কারণে পেঁয়াজের দাম হ্রাস পেয়েছে। এতে সাধারণ ক্রেতারা খুশি হলেও কৃষকরা কিছুটা দাম কম পাচ্ছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।