
সেবা ডেস্ক: নতুন করে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাই-বাছাই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত হচ্ছে। আর চলতি মাসেই এসব প্রতিষ্ঠানের এমপিও ছাড়ের নির্দেশনাও দেওয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন বলেন, ‘যাচাই-বাছাই শেষ পর্যায়ে। এক সপ্তাহের মধ্যে ফাইল প্রস্তুত করে সচিবের কাছে উপস্থাপন করা হবে। ফাইল চূড়ান্ত হওয়ার পর এমপিও ছাড়ের নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ মাসের মধ্যেই সব কাজ শেষ করা হবে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) ও এমপিও তথ্য যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, ‘এক সপ্তাহের মধ্যে আমরা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাতে পারবো।’ যাচাই-বাছাই চূড়ান্ত করা ফাইল অনুমোদন করবেন সচিব, উপমন্ত্রী ও মন্ত্রী। এরপর প্রতিষ্ঠানের এমপিও ছাড়ের আদেশ জারি হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগও যাচাই-বাছাই শেষ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য ও কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (ভোকেশনাল) কবির আল আসাদ বলেন, ‘যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। মন্ত্রী অনুমতি দিলে ফাইল উপস্থাপন করা হবে। একদিনের মধ্যেই সব কাজ শেষ করা যাবে।’
দীর্ঘ ১০ বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ২৩ অক্টোবর একযোগে ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করে তালিকা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর গত বছরের ১২ নভেম্বর ছয়টি এবং ১৪ নভেম্বর একটি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়।
এমপিওভুক্তির আদেশে বলা ছিল—যেসব তথ্যের ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে, সেসব তথ্য ভুল বা অসত্য প্রমাণ হলে তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া তথ্যের সঠিকতা যাচাই সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিও আদেশ কার্যকর হবে।
এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশের পর অভিযোগ উঠে অনেক ‘অযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ তালিকাভুক্ত হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ গত বছরের ১২ নভেম্বর নতুন করে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে একটি কমিটি গঠন করে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে প্রধান করে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে গত ১৪ নভেম্বর আরও একটি কমিটি গঠন করে। দশ সদস্যের ওই কমিটিতে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকে প্রধান করা হয়।
যেসব প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তি নিয়ে সমলোচনা ছিল সেগুলো তালিকা থেকে বাদ পড়বে কিনা জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ আমিন বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানগুলোর যাচাই-বাছাইয়ের রিপোর্ট মাউশিতে পাঠালে জানা যাবে।’
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।