গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার হতে ১ নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়ন যাওয়ার একমাত্র পাকা সড়কটি সংস্কার কাজে উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ব্যাপক অনিয়ম করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মনি কন্ট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
এ অনিয়মের প্রতিবাদে একাধিকবার এলাকাবাসী তারা নিম্ন মানের কাজ বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এসব ক্ষোভ প্রতিবাদ সংবাদ প্রকাশের পর নেড়ে চড়ে বসে জেলা ও বিভাগীয় এলজিডির কর্মকর্তারা। সড়ক সংস্কার কাজটি সঠিক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করার জন্য ২ কার্য কর্মকর্তা ও একজন কলসান্ডেন্ট দেওয়া হয় উক্ত সড়কে। এরপরেও তাদের উপস্থিতিতে সড়কটি সংস্কার কাজে উদাসিন তা দৃশ্যমান সড়কটির পরিস্কার না করেই দায়সারা ভাবে হাওয়া দিয়ে বালি সড়িয়ে করা হচ্ছে সিসি কার্পেটিং কাজ । যেখানে ব্রাশ বা স্পর্কেই ময়লা পরিস্কার হয় না সেখানে বাতাসের সাহায্যে আঠালোভাবে বসে যাওয়া ময়লা কিভাবে পরিস্কার করা সম্ভব তা কারো বোধগম্য হয় না। অপরদিকে উপজেলা প্রকৌশল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলছে সাংবাদিকরা অনৈতিকভাবে অর্থ দাবী করে কাজ বন্ধ করে দিচ্ছে। এমন খবরে ঘটনাস্থলে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করেছে। এসময় স্থানীয়রা বলেন আমাদের দাবীর প্রেক্ষিতে সাংবাদিকগণ উপস্থিত হয়ে জনতার সাথে মিশে অনিয়ম কাজ পরিহার করে সঠিকভাবে কাজ করে নিয়েছে।তারা আরো বলেন আমরা স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করেছি সাংবাদিকগণ কোন কাজ বন্ধ করেনি।
জানা যায় যে, প্রায় ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪.৫০ কিলোমিটার সড়কে সংস্কার কাজে মালামাল প্রায় ১ শত কিলোমিটার দুর হতে তৈরী করে এনে এ সড়কটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। গত ১০ ফেব্রয়ারী সোমবার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে রাত ১০ টার পর হতে সারারাত কিশোরগাড়ী বাজারের অংশে সংস্কার কাজে পাথর ও বিটুমিন মেশানো মসলা দিয়ে সড়কের কার্পেটিং করা হয়। এসব বিটুমিন মেশানো পাথর সড়কে ফেলার আগে সড়কটি না করা হয়েছে পরিস্কার বা না হয়েছে বিটুমিন মিশ্রিত তেল ব্যবহার বালু মাটির উপরে করা হয়েছে কার্পেটিং ফলে রাত না যেতেই কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। জমি নিড়ানীর মতো কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীর হাতে। এরপর অদৃশ্য শক্তির বলে ও স্থানীয় একটি চক্রের সাথে মোটা অংকের লেনদেন হওয়ার পর এভাবে দিনে রাতে কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। অপর দিকে চোখে দেখা অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে স্থানীয় সাধারণ মানুষ তারা অনয়িমের কাজ বন্ধ করে দেয় তাদের পাশে দাড়িয়ে সহমত প্রকাশ করছে স্থানীয় সাংবাদিকেরা। এঘটনায় সাংবাদিকদের দোষারোপ করছে উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।
সড়কটি পরিস্কার করতে বলেছি শ্রমিকরা খাইতে যাওয়ায় এ অংশটি পরিস্কার হয়নি এই হলো এলজিইডির কর্মকর্তাদের দায়সারা কারবার তারা যা বলে সেটাই সঠিক রাতে আধারে কার্পেটিং কাজ কেউ কিছু বললেই অযুহাত গাড়ী নষ্ট, মেশিন নষ্ট হওয়ায় কাজ করতে করতে গভীর রাত। এতেই পরিস্কার বোঝায় এই কর্মকর্তাগণের যোগসাজসে এসব কাজ রাতের আধারে করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী তাহাজ্জোত হোসেন বলেন, একাজটির অনিয়মের বিষয়ে একাধিক পত্রপত্রিকায় নানা ভাবে খবর প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এসব খবরের সূত্র ধরে কাজটির সকল অনিয়ম দুর করে সঠিকভাবে কাজ সম্পর্ন করে নিচ্ছি । একাজ শেষ হওয়ার পর সকল প্রকার পরীক্ষা নিরিক্ষা করে গাইবান্ধা ও রংপুরের উদ্বোধর্তন কর্মকর্তারা কাজের বিল অনুমোদন করবেন। বিধায় এ কাজে অনিয়ম করা কোন সুযোগ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির নেই । তার পরেও যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে সাংবাদিকগণ নিউজ প্রকাশ করবে আমাদের উদ্বোর্তন কর্মকর্তাদের নিকট জানাবে কিন্তু এভাবে স্থানীয়দের উস্কে দিয়ে কাজ বন্ধ করে দিবে তাহলে তো আইনের আশ্রয় নেওয়া ছাড়া আমাদের কোন উপায় থাকে না।
অপরদিকে কাজের অনিয়মের প্রতিবাদকারী স্থানীয়দের পাশে দাড়ানো সংবাদ কর্মীরা জানান, অনিয়ম করে কাজ করে আবার এসব কর্মকর্তা সাংবাদিকদের আইনের ও মামলার ভয় দেখায় বিধার আমরা আগামীকাল স্থানীয় চৌমাথা মোড়ে প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছি। অনিয়মের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সমাজের আন্দোলন বিগত দিনেও চলছে আগামীতেও চলবে ।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।