করোনা: যাত্রাবাড়ীতে ৩২ প্রতিষ্ঠানকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা

S M Ashraful Azom
করোনা যাত্রাবাড়ীতে ৩২ প্রতিষ্ঠানকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা

সেবা ডেস্ক: করোনা ভাইরাস আতঙ্ক পুঁজি করে দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পেঁয়াজ-আলুসহ বিভিন্ন পণ্য মজুত করে বেশি দামে বিক্রি করছে। তৈরি করছে কৃত্রিম সঙ্কটের। আর এসব প্রতিরোধে রাজধানী যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন আড়তে অভিযান চালিয়ে ৩২ প্রতিষ্ঠানকে ৫০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার সকালে র‌্যাব-১০ এর সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ীর বিভিন্ন আড়তে দেখা গেছে- পাইকারি কেজি ২৮ থেকে ৩৫ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়, ১২ থেকে ১৪ টাকার আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। আর খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা। এসব অপরাধে ৩২টি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাঁচজনকে ৬ মাস থেকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে অভিযানের পর নির্ধারিত দাম রাখা শুরু করেছে ব্যবসায়ীরা। আমরা আড়ত পর্যবেক্ষণ করছি।

মামুন নামে একজন ক্রেতা ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, অভিযানের খবর শুনে যাত্রাবাড়ী আড়তে যাই। কিন্তু আলু ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা মালামাল বিক্রি করছে না। তারা মালামাল দ্রুত ডেকে ফেলছে। তখন অবশ্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের লোকজন ছিল না। আসলে ব্যবসায়ীরাই সুযোগ বুঝে মালামালের দাম বাড়িয়ে ফেলছে। নিয়মিত অভিযান ও মনিটরিং অব্যাহত থাকলে আমরা সঠিক দামে মালামাল কিনতে পারবো।

অপর দিকে শনিবার মিরপুরের শাহআলী এলাকায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর অভিযান চালিয়ে বেশি দামে চাল বিক্রিতে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযান সর্ম্পকে অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, শাহআলী এলাকার মাহিম রাইস এজেন্সি ও তাইয়্যেবা রাইস এজেন্সিতে ১২০০ টাকার চাল কিনে বিক্রি করা হচ্ছে ২০০০ টাকায়, ২৩০০ টাকায় চাল কিনে বিক্রি করা হচ্ছে ২৭৫০ টাকা এবং জিসান বাণিজ্যালয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ টাকায় কিনে বিক্রি করা হচ্ছে ৬০ টাকা। পরে এই তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়।

এছাড়া নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে শাহআলী এলাকার চিশতিয়া রাইস এজেন্সি, সুমন রাইস এজেন্সি এবং একই অপরাধে মিরপুর এলাকার কিশোরগঞ্জ ভ্যারাইটি স্টোর, আব্দুল কাদের স্টোরকে জরিমানা করা হয়। সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

অভিযানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিরা সহায়তা করেন। জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবদুল জব্বার।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাস আতঙ্কে নগরবাসীর মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুতের হিড়িক পড়েছে। পুরো মাসের বাজার একসঙ্গে কেনার চেষ্টা করছে অনেকেই। বাজারে নিত্যপণ্যের চাহিদা বেশি হওয়ায় এ সুযোগে দাম বাড়াচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। নিত্যপণ্যের দামে লাগাম টানতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাজার মনিটরিং করছে। অতিরিক্ত দাম রাখা ও পণ্যের মূল্য তালিকা না থাকায় ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের সতর্ক করা হচ্ছে। এরপর একই অপরাধ করলে প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেয়া হবে।

 -সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top