কাজিপুর প্রতিনিধি: একের পর এক বিপদ যেন পিছু ছাড়ছে না কাজিপুরবাসির। এরই মধ্যে পাশের জেলায় করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঘটায় লকডাউন করা হয়েছে ছয়টি ইউনিয়ন। সাতজনের নতুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। করোনার বিস্তার প্রতিরোধে কাজিপুর উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ ও বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি দিনরাত মানুষকে ঘরে ফেরাতে কাজ করে যাচ্ছেন। জীবনের ঝুঁকি জেনেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী, উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী, ভাইস চেয়ারম্যান দীন মোহাম্মদ বাবলু ত্রাণ বিতরণ করছেন।
কিন্তু কে শোনে কার কথা! কিছুতেই মানুষকে পুরোপুরি ঘরে রাখা যাচ্ছে না। তার উপরে নতুন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ঢাকা এবং নারায়নগঞ্জ থেকে ফেরত আসা সহস্রাধিক পোষাক শ্রমিককে নিয়ে। শনিবার সকালে সরেজমিনে কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে দ্বিতীয় বার ঢাকা নারায়নগঞ্জ ফেরত ব্যক্তিরা নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে হাটে-বাজারে জড় হচ্ছেন। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এদিক সেদিক।
গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাত বারোটা থেকে ভোর রাত অবধি তারা মালবাহী ট্রাকে করে কাজিপুরে প্রবেশ করেছে।
স্থানীয় জনগণ, প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই তাদের ঘরে রাখতে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মুকুল সকাল থেকে নিজেই জনগণকে ঘরে থাকতে মাইকিং করছেন। নিজে বেশ কয়েকটি বাজারে গিয়েছেন। সোনামুখী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী গ্রাম পুলিশ ও আনসার সদস্যদের নিয়ে সকালে সোনামুখী বাজার বন্ধ করে সহস্রাধিক লোককে ঘরে পাঠিয়েছেন।
কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী,‘ কিন্তু স¤প্রতি ঢাকা নারায়নগঞ্জ ফেরত গার্মেন্টস শ্রমিকরা আমাদের চিন্তায় ফেলেছে উল্লেখ করে জানান, ‘ লোকজনের আসা ঠেকাতে গতকাল রাত দুইটা পর্যন্ত আমি এবং ইউএনও রাস্তায় ছিলাম। কিন্তু তারা ভোররাতে ঢুকছে। আজ(শনিবার) সর্বস্তরের সচেতন মানুষের সহযোগিতা চেয়ে মাইকিং করছি। কথা বলেছি সিরাজগঞ্জ এবং টাঙ্গাইল প্রশাসনের সাথেও যাতে করে কোন গাড়ি তাদের গলিয়ে আমাদের কাজিপুরে ঢুকতে না পারে।’
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন,‘ সবাইকে ঘরে রাখতে আমরা নিয়মিত টহল দিচ্ছি। জনপ্রতিনিধিদেরকে এ বিষয়ে ভূমিকা রাখতে আহবান জানিয়েছে। অর্ধশত লোককে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করেছি। প্রতিটি এলাকার সচেতন জনগণকে সজাগ ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানাচ্ছি। ’
এদের রুখতে না পারলে কাজিপুরের করোনা পরিস্থিতি যেকোন সময় ভয়ংকর হতে পারে সচেতন মহল মনে করছে।