রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া): করোনা দূর্যোগের মাঝেও বগুড়ার ধুনট উপজেলার গ্রামীন জনপদে প্রতিদিন জমজমাট জুয়া খেলার আসর বসে। সেখানে তাস, মোবাইল, লুডুসহ বিভিন্ন খেলার মাধ্যমে পরিচালিত হয় জুয়ার আসর। হাতের নাগালে এসব আসর থাকায় জুয়ার নেশায় সেখানে সর্বস্ব খুইয়ে ফেলেছে এলাকার শত শত মানুষ।
সারা দেশের ন্যায় এ উপজেলার মানুষ করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক হাট-বাজার ও পথে প্রান্তরে কাজ করেছেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এই সুযোগে এলাকার সংঘবদ্ধ জুয়ারিরা গ্রামের ফাঁকা মাঠ, পরিত্যক্ত ঘর, গাছের বাগান, বাঁশঝাড়, ঝোপ-জঙ্গলে পরিচালনা করছেন এসব জুয়া খেলা।
করোনার সংক্রমণরোধে এলাকার হাট-বাজার, দোকানপাট, চা স্টলসহ সকল প্রকার আড্ডা বন্ধ করে দিয়েছেন প্রশাসন। সব ধরনের বিনোদনও বন্ধ রয়েছে। লোকজন অনেকটাই ঘরমুখী। কর্মহীন মানুষ গুলো বাড়িতে বসে অলস সময় পার করছেন। গ্রামের অসাধু ব্যক্তিরা এই অলস সময়কে কাজে লাগাচ্ছেন জুয়া খেলে। এসব জুয়ার আসরে সামাজিক নিরাপদ দুরত্ব সুরক্ষা হচ্ছে না।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলার বৈশাখী চর, মরিচতাল, মথুরাপুর, খাদুলী, এলাঙ্গী, আনারপুর, সাগাটিয়া, বেলকুচি, চৌকিবাড়ি, ঢগঢগিয়া, বেড়েরবাড়ি, জোড়শিমুল, ফরিদপুর ও নাগেশ্বরগাতিসহ শতাধিক গ্রামে এসব জুয়ার আসর বসে। মধ্য ও স্বল্প আয়ের পরিবারের লোকজন এসব আসরে আসেন। উপার্জনের যাবতীয় টাকা ছাড়াও অনেকেই সংসারের জিনিসপত্র বন্ধক রেখে জুয়া খেলে থাকেন।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, দুই একটি জায়গা থেকে জুয়া খেলার সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়েছে। করোনা সংক্রমণ থেকে এলাকাবাসিকে সচেতনতা করার পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সার্বক্ষনিক কাজ করা হচ্ছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিয়া সুলতানা বলেন, গ্রামাঞ্চলে জুয়া খেলার বিষয়টি কয়েক জন ফোন করে জানিয়েছেন। তাৎক্ষনিক ভাবে এ বিষয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।