রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কায় মানুষ ঘরবন্দী হয়ে পড়ার কারণে খাদ্যবর্জ্য কমে গেছে। এতে করে চরম খাদ্য সঙ্কটে পড়েছে কুকুর, বিড়াল ও কাক সহ বেওয়ারিশ প্রাণীকুল।
জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের কারণে অফিস, স্কুল-কলেজ, গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দেন সরকার। এতে সাধারণ মানুষেরা ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন। উপজেলা জুড়ে চলছে অঘোষিত লকডাউন। স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। বাজারে মানুষের আনাগোনা সীমিত হয়ে পড়েছে।
ফলে মানুষের খাদ্যবর্জ্য একেবারেই কমে গেছে। সব দোকানপাট, হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ রয়েছে। আবর্জজনার ভাগাড় গুলোতে এখন উচ্ছিষ্ট খাদ্য মিলছে না। এতে বেওয়ারিশ প্রাণীকুল চরম খাবার সংকটে পড়েছে। বিশেষ করে বিড়াল, কুকুর ও কাকের খাবারের সংকট সবচেয়ে বেশি।
জীববৈচিত্র সংরক্ষণে সেবচ্ছাসেবী সংগঠন স্বাধীন জীবনের নির্বাহী পরিচাল আব্দুর রাজ্জাক নাছিম বলেন, করোনা দূর্যোগে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়ায় পরিবেশের উপর ক্ষতির প্রভাব কমেছে। এতে পরিবেশের পরিবর্তন ঘটছে। আবার মানুষের খাদ্যবর্জ্য কমে যাওয়ার কারণে কুকুর, বিড়াল ও কাকের মত বেওয়ারিশ প্রাণীর খাবারের সংকট হচ্ছে। তাই যার যার অবস্থান থেকে এসব প্রাণীর সাহায্যে পাশে দাঁড়ান। সবাই অন্তত একটি বাচ্চা কুকুরের দায়িত্ব নিলে এ দেশে কারো না খেয়ে থাকতে হবে না। এ পৃথিবী শুধু মানুষের জন্যই নয় প্রাণীদেরও।
ধুনট উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, এখন তো সবাই মানুষের নিরাপত্তা নিয়েই বেশি চিন্তিত। তবে এটা ঠিক যে, এ প্রাণীগুলোর দিকেও নজর দেওয়া দরকার। অবশ্য এগুলোর খাবারের জন্য আগেও আমরা কখনো কিছু করিনি। এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তাই আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে দেখি এসব প্রাণীকুলের জন্য আমরা কতটুকু কী করতে পারি।