সেবা ডেস্ক: বৈদ্যুতিক লাইন মেরামতের জন্য বিদ্যুৎ অফিস থেকে লাইন শাটডাউন দেয়ার পর পুনরায় লাইন সচল করায় বিদ্যুতের ২৫ কেভি ট্রান্সফর্মার থেকে পড়ে প্রাণ গেলো শামীম (২২) নামের এক বিদ্যুৎ শ্রমীকের।
গতকাল বুধবার (১৫ এপ্রিল) আজ সন্ধ্যা সাতটার দিকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গোবিন্দাসী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শামীম উপজেলার গোবিন্দাসী গ্রামের সোহরাব মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, উপজেলার গোবিন্দাসী গ্রামের নুরুল হক সরকারের বাড়িতে ২৫ কেভি ট্রান্সফর্মারে সমস্যা হওয়ায় তা মেরামতের জন্য আজ (বুধবার) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিদ্যুৎ অফিসের কন্ট্রোল রুম থেকে সাটডাউন নেয় শামীম। ওই সময় কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে ছিলেন এসবি লোকমান হোসেন। মেরামত কাজ শুরু করার পর পরই পুনরায় লাইন সচল হয়ে যায়। এসময় বিদ্যুতপৃষ্ট হয়ে শামীম ট্রান্সফর্মার থেকে নীচে পড়ে যায়। এতে তার মাথা ফেটে যায়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
শামীমের সহযোগী শাহ আলম জানান, ওই সময় কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বরত লোকমানের কাছ থেকে সাটডাউন নেয় শামীম। এরপর সে লাইন মেরামতের জন্য মই দিয়ে ট্রান্সফর্মারের কাজ শুরু করে। আর আমি মইয়ের নীচে দাঁড়িয়ে থাকি। কিছুক্ষণ পরই লোকমান লাইন চালু করে। এসময় শামীম বিদ্যুতপৃষ্ট হয়ে নীচে পড়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
তিনি বলেন, সাটডাউন দেয়ার পর এভাবে যে লাইন চালু হবে তা বুঝতে পারিনি।
অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে চলছে ভূঞাপুর বিদ্যুৎ অফিস। রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে পথে বসতে হয়েছে অনেকেরই। দূর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে তা প্রমানীতও হয়। তারপরও অদৃশ্য কারনে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। অফিসের কোন লাইনম্যান ছাড়া অন্য কাউকে সাটডাউন দেয়ার নিয়ম নেই। আমি বিষয়টি দেখতেছি।