সেবা ডেস্ক: বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন দেশের মানুষ। বেশি বেকায়দায় পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর, কর্মহীন ও শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে যারা দিন এনে দিন খায় এমন মানুষ। সমাজে এসব মানুষের সংখ্যাই বেশি। এসব অসহায় মানুষের ঘরে দ্রুত খাদ্য সেবা পৌঁছে দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ছাত্রলীগ।
তবে এ সেবার জন্য ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ জরুরি খাদ্য সরবরাহের একটি নম্বরে কল করতে হবে। কল করে যে কেউ পেতে পারেন এ খাদ্যসামগ্রী উপহার। ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ ব্যতিক্রমী এই খাদ্যসামগ্রী উপহারের সেবা চালু করেছে দেবিদ্বার উপজেলা ছাত্রলীগ।
‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ জরুরি সেবায় কল করে খাদ্যসামগ্রী পেয়েছেন ছোট আলমপুরের বৃদ্ধা রহিমা বেগম।
তিনি বলেন, করোনার কারণে সারাদিন ঘরবন্দী থাকতে হয়। ঘরে খাবারের সংকটে ছিলাম। পরে ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ জরুরি খাদ্য সেবার নম্বরে কল করার পর তারা আমার বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে আসেন।
এছাড়া জরুরি কল করে খাদ্যসামগ্রী পেয়েছেন সিমারকান্দার গ্রামের হতদরিদ্র মনু মিয়া. জাফরগঞ্জ গ্রামের রিকশাচালক জালাল মিয়া, বাসের হেলপার হান্নান মিয়া, করোনায় চাকরি হারিয়ে কর্মহীন হওয়া বন্যা আক্তার, গজারিয়া গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কামাল হোসেনসহ অর্ধশত মানুষ।
জরুরি নম্বরে কল আসলেই খাদ্য পৌঁছে দেন নাজমুল, বাপ্পু, আশিক, সাব্বির, প্রণব, আমির, মীর মাকসুদসহ ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ সেবার অনেক কর্মী।
উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন রুবেল বলেন, ‘ হ্যালো ছাত্রলীগ’ এ কল করার সঙ্গে সঙ্গে তার নাম ঠিকানা নোট করা হয়। আমরা চেষ্টা করি খাদ্যসামগ্রী উপহার নেয়া সবার নাম গোপন রাখতে। ‘ হ্যালো ছাত্রলীগ’ গোপনে রাতের আঁধারে মানুষের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী উপহার হিসেবে দ্রুত পৌঁছে দিচ্ছে।
কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু কাউছার অনিক বলেন, করোনায় বিপর্যস্ত হওয়া যেকোনো মানুষ ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ জরুরি খাদ্য সরবরাহের নম্বরটিতে কল করে খাদ্য সহায়তা নিতে পারবেন। ‘হ্যালো ছাত্রলীগ’ নম্বরটি করোনায় চলাকালীন সব সময়ই চালু থাকবে। ছাত্রলীগের নিজস্ব অর্থায়নে এসব খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করে আমরা মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছি।