গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা জেলায় ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার নতুন করে করোনা ভাইরাস সন্দেহে গত ২৪ ঘন্টায় সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের গোঘাট গ্রামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে গত ২৪ ঘন্টায় ১৫৮ ব্যক্তিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে এবং ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর তাদের করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কোন প্রমাণ না পাওয়ায় ৯ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে আরও নতুন ২ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
তদুপরি এ জেলায় এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৫ জনের মধ্যে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেসনে ৩ জন এবং সুন্দরগঞ্জ ও সাদুল্যাপুরের হবিবুল্যাহপুর গ্রামের হোম কোয়ারেন্টাইনে ২ জনকে রাখা হয়েছে বলে সিভিল সার্জন সুত্রে জানা গেছে। জেলায় ১০০ শয্যার আইসোলিসন সেন্টার প্রস্তুত রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে । ১০ টাকা দরে চাল ও নায্য মুল্যে খাদ্য সামগ্রী বিক্রয় চলমান আছে। এসব খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমে ব্যাপক জনসমাগম ঘটছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করা হলেও এ দূরত্ব তারা মানছেন না এতে ডিলারগণকে ব্যাপক হয়রানি হতে হচ্ছে। এছাড়াও জনসমাগম রোধে জেলা জুড়ে নির্বাহী ম্যাজিস্টেট নেতৃত্বে সকল ধরণের জনসমাগম রোধ ও জনসচেতনতা মুলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেনাবাহিনী টিম বিশেষ ভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের উপর নজরদারির পাশাপাশি জনসমাগম রোধে ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও বিভিন্ন স্থান হতে সরে যাইতে জনসমাগম আবারো ঘটছে। ভালো ভাবে সম্মানের সহিত বললে তারা শুনছেন না । তারা বার বার পুলিশের দিন রাত পরিশ্রমকে বৃথা করে দিতে ইচ্ছাকৃত জনসমাগ ঘটাচ্ছেন। তবুও পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যাপক ভাবে ভূমিকা পালন করছেন। এছাড়াও জেলা পুলিশের পক্ষ হতে কর্মহীন অসহায় পরিবার গুলোকে খাদ্য সহায়তা চলমান রেখে জনসমাগম রোধে জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের হাট বাজার গুলোতে পুলিশের জোড়ালো জনসমাগম রোধ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও জেলা উপজেলা গুলোতে শুধু মাত্র ওষুধের দোকান ব্যতিত সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকান পাট বিকাল ৫ টার পর বন্ধ ঘোষণা করেছেন স্ব স্ব উপজেলা প্রশাসনগণ। আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে প্রয়োজনীয় মালবাহী যানবাহন গুলো চলাচল করছে।