রফিকুল আলম, ধুনট : বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। দিন দিন বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। বাড়ছে আক্রান্তের সাথে মৃতের সংখ্যাও। এই পরিস্থিতিতে যখন আতঙ্কিত দেশের সব মানুষ, তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একঝঁক তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা জনসচেতনতার কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন মানবতার কল্যাণে। সচেতনতার বার্তা ছড়াতে রাতদিন সমানে লড়ছেন স্বেচ্ছাসেবক বাহীনির সদস্যরা। এটি বগুড়ার ধুনট উপজেলার বিভিন্ন এলাকার চিত্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনাও ধুনট পরিস্থিতি নামে ফেসবুক গ্রæপের পক্ষ থেকে করোনা প্রতিরোধযুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক বাহীনি গড়ে তোলা হয়েছে। করোনা দূযোর্গ পরিস্থিতিতে অবাধে কাজ করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। পৌর এলাকাসহ ১০ ইউনিয়ন পর্যায়ে এই গ্রæপের শতাধিক সদস্য প্রতিদিন স্বেচ্ছায় কাজ করছেন।
করোনার প্রভাবে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে দিয়েছেন সরকার। জরুরি সেবায় নিয়োজিতরা এখনও মাঠে। সবাইকে ঘরে থাকার আহŸান জানানো হচ্ছে দায়িত্বশীল সব পক্ষ থেকেই। কিন্ত সরকারি নির্দেশ মানছেন না কেউ। তাই প্রশাসনের সাথে করোনা প্রতিরোধযুদ্ধে সামিল হয়েছেন স্বেচ্ছাসবেক বাহীনির সদস্যরা। তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য।
নিজেদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও ভয়কে জয় করে তারা প্রতিনিয়ত কাজ করছে। এমনকি সেবাব্রত মনোভাব নিয়ে কাজ করা এসব সদস্যরা সবার স্বার্থে নিজ পরিবার থেকেও আলাদা থাকছেন। হাসপাতাল, পাড়া মহল্লা, বাজার, দোকান, মসজিদ উপসানালয়সহ যেসব স্থানে মানুষের যাতায়ত রয়েছে সেখানে জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন। কর্মহীনদের খাদ্য সহায়তা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মাইকিং করা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সচেতনতা পোস্টসহ নানা ধরনের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন সেচ্ছাসেবকরা।
স্বেচ্ছাসেবক কমিটির উপজেলা সমন্বয়ক সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম শ্রাবন জানান, বিভিন্ন দুর্যোগে একক বা সমন্বিতভাবে মানুষকে সহায়তা করেন অনেকেই। ফেসবুক গ্রæপের মাধ্যমে সেই মানুষদের সংগঠিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এই স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য তেমন কোনো সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই। নিজের উদ্যোগে সংগ্রহ করা মাস্ক পরে প্রত্যেকে নিজের এলাকায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে তারা কাজ করছেন। করোনা নিয়ে নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব ঠেকাতেও তৎপর রয়েছেন তারা।#