
সেবা ডেস্ক: সারাদেশের ন্যায় বাহুবল উপজেলায় করোনা ভাইরাসের কারনে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকারি ও এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এরই মধ্যে বেতন ভাতা বৈশাখীভাতা ও আসন্ন ঈদ বোনাস পাচ্ছেন।
কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকরা মানবেতর জীবন অতিবাহিত করছেন। তারা শিক্ষক ও অাত্মসম্মানের কারণে কারো কাছে চাইতেও পারছেন না।অাবার অন্য ৫ টি পরিবারের মতো নিজের পরিবারের ও ভরণপোষনে ভীষণ কষ্টে আছেন।
খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জানান, জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পেলেও মার্চ এপ্রিল মাসের বেতন পাননি তারা।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মালিক পক্ষকেও চাপ দিতে পারছেন না।
অপর দিকে সরকারের ঘরে থাকার কারণে সকাল বিকাল কিছু টিউশনি ছিল তাও বন্ধ। বাহুবল কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি নিরঞ্জন সাহা নিরু জানান, অামরা সরকার ও দেশকে শিক্ষায় সহযোগিতা করছি। জাতিকে শিক্ষিত করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছি। প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষক কর্মচারীর বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছি। সরকার বিভিন্ন সেক্টরে বিভিন্নভাবে প্রনোদনা দিচ্ছে যদি অামাদের কিন্ডারগার্টেন সেক্টরের দিকে একটু নজর দিত তাহলে জাতি গঠনে যারা সহযোগিতা করছে তাদের উপকার হত। তিনি অরোও বলেন অাজ অামরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে দেখা করে অামাদের দাবী গুলো বলেছি তিনি অামাদের অাশ্বাস দিয়েছেন।
এসোসিয়শনের সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার মখলিছুর রহমান জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অামাদের দাবী পেশ করেছি ইউএনও মহোদয় অামাদের অাশ্বাস দিয়েছেন।এ ব্যপারে শিক্ষকবান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগন্ধা তালুকদার জানান,ইতোপূর্বে ব্যক্তিগত ভাবে অনেক শিক্ষক অামার সাথে যোগাযোগ করে সরকারি সহযোগিতা নিয়েছেন।অামি জেলা প্রশাসক মহোদয় স্যারের সাথে যোগাযোগ করে সবার জন্য যা ভালো হয় তা চেষ্টা করব।
উল্লেখ্য করোনা কালীন এ পরিস্থিতিতে ইউএনও স্নিগন্ধা তালুকদার মাঠে রাতদিন প্রচন্ড ঝুঁকি নিয়ে যেমন বাজার মনিটরিং, বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছানো,সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতকরণ,কৃষি ক্ষেত্রে পদক্ষেপ, বিপদগ্রস্থ শিক্ষকের পাশে দাঁড়ানো সহ নানান কাযক্রম বাস্তবায়নে সচেতন মহলের ব্যপক প্রশংসা পেয়েছেন।।