রেজাউল করিম বকুল, শেরপুর প্রতিনিধি: দরিদ্র কৃষক নজরুল ইসলাম। তিনি করোনার সংক্রমণের ভয়ে কয়েক সপ্তাহ ছিলেন ঘরে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা। এতে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট।
শংকিত হয়ে পড়েন শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার তাতিহাটি ইউনিয়নের ভটপুর গ্রামের হতদদিরদ্র কৃষক নজরুল ইসলাম। তিনি এবার অনেক কষ্ট করে ২৫ শতাংশ জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। এখন পাকা ধান ক্ষেতে রেখে ঘুমাতেও পারছেন না। অপর দিকে শ্রমিক সংকটও চরমে। ফলে পড়েছেন বিপাকে।
এ সংবাদ শোনে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সুজন রেজা এলেন এগিয়ে। ৭ মে বৃহস্পতিবার তিনি স্থানীয় স্কুল কলেজের এক ঝাঁক উদিয়মান যুবক ও ছাত্রলীগকর্মীদের নিয়ে ওই কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেন। এতে ওই কৃষক খুশি। এভাবে প্রতিদিন চলছে করোনা যুদ্ধের মানবিক এসব সৈনিকদের ধান কাটার উৎসব। প্রতিদিন কারো না কারো ধান কেটে মেতে উঠছেন ধান কাটার উৎসবে।
এতে সহজেই অনেক দরিদ্র কৃষকের ক্ষেতের ধান আসছে ঘরের গোলায়। সাশ্রয় হলো অর্থের। কেটে যাচ্ছে বৈশ্বিক করোনা মহামারির মধ্যেও ক্ষেতের ধান ঘরে তোলা। হতদরিদ্র কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, এসব ছাত্রলীগকর্মী ও উদীয়মান যুবকরা সুজন রেজার নেতৃত্বে আমার মতো গরিব কৃষকের ধান কেটে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন।
এ সময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুজন রেজা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগকে এ করোনা যুদ্ধে দরিদ্র অসহায় কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো নির্দেশ দিয়েছেন। এ জন্য আমরা ধান কাটার উৎসবে অসহায় দরিদ্র কৃষকদের ক্ষেতের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছি। গত এক সপ্তাহ যাবত চলছে ধান কাটার উৎসব। যতদিনি ক্ষেতে পাকা ধান থাকবে ততদিন ধান কাটার উৎসব চলবেই। কোনো দরিদ্র কৃষক জানালে তার ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়া হবে। আমরা মানুষের পাশে থাকতে চাই।
এই দুর্যোগে তাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা গর্বিত। তার সহযোদ্ধারা জানান, সুজন রেজা দীর্ঘদিন যাবত দরিদ্র অসহায় মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। তিনি আগামিতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে লড়বেন বলে সকলের দোয়া চেয়েছেন। ছাত্রলীগের এই মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন হতদদ্রি কৃষক নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় কৃষকরা।