রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া): ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুটি ক্ষতিগ্রস্ত এবং মাঠে থাকা লিচু, আম, কাঠাল, পেঁপে, ধান ও সবজি ফসল ব্যাপকভাবে নষ্ট হয়েছে। স্মরণকালের দীর্ঘস্থায়ী ঝড়ে সব মিলিয়ে এ উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ কমপক্ষে অর্ধ কোটি টাকা।
জানা গেছে, ঘর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে বুধবার সন্ধ্যা থেকে দমকা বাতাস ও বর্ষণ শুরু হয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেষ হয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে টানা ঝড় বৃষ্টিতে কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালাসহ বিভিন্ন জাতের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে নি¤œাঞ্চলের পাকা ধান ক্ষেতে পানি জমে ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা তাদের ফসলহানিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কারণ, এসব ফসল বিক্রির টাকায় সারা বছর পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা।
এ উপজেলায় কৃষিখাতে ক্ষতির মধ্যে ৯৭০হেক্টর বোরো ধান, ১৮০হেক্টর পাট ও ২৫ হেক্টর জমির বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি রয়েছে। এছাড়া ভুট্ট্রার কাটা মাড়াই শেষের দিকে হলেও কিছু কিছু জমির ভুট্টা গাছ হেলে মাটিতে পড়ে গেছে। ফলে কমপক্ষে ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এদিকে বৃষ্টির পানি গড়ে এ উপজেলায় প্রায় ১০কিলোমিটার কাঁচা-পাকা সড়কের দুই পাশে ধ্বসে এবং কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে পড়ে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার মধুপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল জলিল জানান, ঝড়ো হাওয়ায় ক্ষেতের পাকা ধানগাছগুলো মাটিতে হেলে পড়েছে। এরপর বৃষ্টির পানিতে সেগুলো ডুবে গেছে। ধান রক্ষার জন্য জমিতে জমে থাকা পানি স্থানীয় খালে অপসারণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদি জমিতে আটকে পড়া পানি দ্রæত সরানো যায় তাহলে হয়তো কিছু ধান পাওয়া যাবে। তবে যদি আবারও বৃষ্টি হয় তাহলে তার এক বিঘা জমির একমুঠো ধানও ঘরে তোলা সম্ভব হবে না।
ধুনট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আলিম বলেন, স্মরণকালের দীর্ঘস্থায়ী এ ঝড়ে বড় ধরনের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। তবে কৃষি খাতে বিভিন্ন ফসেলের কমপক্ষে ৪০ লাখ টাকার ক্ষতির পরিমান দেখানো হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সরকারি ভাবে কোন প্রকার ত্রান সামগ্রী বরাদ্দ পাওয়া যায়নি।