
রফিকুল আলম, ধুনট (বগুড়া): করোনা ক্রান্তিতে পুরো এলাকা লকডাউন। চলছে সামাজিক দুরত্ব মানার বিধান। তারপরও করোনা সংক্রমণের শঙ্কা। এমন পরিস্থিতির মাঝেও পরিবহন শ্রমিকের ধর্ষণের শিকার হয়েছেন শারীরিক প্রতিবন্ধী হতদরিদ্র এক তরুনী। ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়ার ধুনট উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের ধামাচামা গ্রামে।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে উপজেলার ধামাচামা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে বখাটে পরিবহন শ্রমিক বিটুল মিয়া (১৯) ও তার বন্ধু একই গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে হোসেন আলীকে (২২) আসামী করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা-বাবা ঢাকায় একটি পোশাক তৈরীর কারখানায় চাকুরী করেন। মেয়েটি তার দাদীর সাথে ধামাচামা গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকেন। মেয়েটি বখাটে বিটুল মিয়ার প্রতিবেশী চাচাতো বোন। একই গ্রামে পাশাপাশি বাড়িতে দু’জনের বসবাস।
এ অবস্থায় ২৬ এপ্রিল বিটুল তার বন্ধু হোসেন আলীর বাড়িতে মেয়েটিকে কৌশলে ডেকে নেয়। এরপর হোসেন আলীর ভাই হাসানের ফাঁকা ঘরে মেয়েটিকে নিয়ে বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে বিটুল মিয়া হাত-পা ও মুখ বেঁধে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে তার দাদী ঘটনাস্থলে পৌছলে বিটুল ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনার পর বিটুল ও তার বন্ধু হোসেন আলী পলাতক রয়েছে।
ধুনট থানার উপপরিদর্শক (্এসআই) প্রদীপ কুমার বর্মন বলেন, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।