
রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় শারীরিক প্রতিবন্ধী এক তরুনী ধর্ষণ মামলায় বিটুল মিয়া (১৯) নামে পরিবহন শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিটুল মিয়া উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের ধামাচামা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। রোববার সকাল ৬টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির মা-বাবা ঢাকায় একটি পোশাক তৈরীর কারখানায় চাকুরী করেন। মেয়েটি তার দাদীর সাথে ধামাচামা গ্রামে বাবার বাড়িতে থাকেন। বখাটে বিটুল মিয়া মেয়েটির প্রতিবেশী চাচাতো ভাই। একই গ্রামে পাশাপাশি বাড়িতে দু’জনের বসবাস।
এ অবস্থায় ২৬ এপ্রিল দুপুরের দিকে বিটুল তার বন্ধু হোসেন আলীর বাড়িতে মেয়েটিকে কৌশলে ডেকে নেয়। এরপর হোসেন আলীর ভাই হাসানের ফাঁকা ঘরে মেয়েটিকে নিয়ে বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে বিটুল মিয়া হাত-পা ও মুখ বেঁধে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির চিৎকারে তার দাদী ঘটনাস্থলে পৌছলে বিটুল কৌশলে পালিয়ে যায়।
ধর্ষণের শিকার মেয়েটি বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিটুল মিয়া ও তার বন্ধু একই গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে হোসেন আলীকে (২২) আসামী করা হয়েছে।
মমলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার উপপরিদর্শক (্এসআই) প্রদীপ কুমার বর্মন বলেন, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী বিটুল মিয়াকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলা কারাগারো পাঠানো হয়েছে। অপর আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।