
রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। যমুনা নদীর পানি সোমবার বেলা ৩টায় বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
যমুনা নদীর অববাহিকায় চর এবং আশপাশে গ্রামগুলো জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। বন্যাকবলিত লোকজন অনেকে বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট। যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের দেড় হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
এদিকে করোনার কারণে টানা তিন মাস ঘরে বন্দী লোকজনের ওপর চরম দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে বন্যা। হাতে কাজ না থাকায় বিপাকে পড়েছে বিপুলসংখ্যক লোক। সেই সঙ্গে চরাঞ্চলে টিউবওয়েল (অগভীর নলক‚প) ও পয়োনিষ্কাশনের স্থান পানিতে তলিয়ে থাকায় সংকটে পড়েছে বানভাসি পরিবারের সদস্যরা, বিশেষ করে নারীরা।
এ ছাড়া বৃষ্টির কারণে জ্বালানি নষ্ট হওয়ায় রান্না করতে পারছে না ভুক্তভোগী মানুষ। হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম ঝুঁকিতে রয়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধীরা। এ ছাড়া অন্তঃসত্ত¡া নারীদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। বৃষ্টি ও বন্যার ফলে ঝুঁকিতে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদ্য মেরামত করা বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ।
বগুড়া জেলা ত্রান ও পূর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী বলেন, বন্যা দূর্গত এলাকার জন্য সরকারি ভাবে ৫ মেট্রিক টন চাল ও ৪১ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।