দেওয়ানগঞ্জে বন্যার পানিতে নিচু এলাকা প্লাবিত

S M Ashraful Azom
0
দেওয়ানগঞ্জে বন্যার পানিতে নিচু এলাকা প্লাবিত

সেবা ডেস্ক: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির ভারি বর্ষণে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়েছে নদী ভাঙ্গন। প্লাবিত হয়েছে উপজেলা প্রশাসন ভবনসহ নিচু এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজার পরিবার।

২৮ জুন দেওয়ানগঞ্জ বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীতে ২৪ ঘন্টায় ২০.০৮ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৫৮ সেন্টিমিটার বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৫০ হাজার পরিবার। চিকাজানী, চুকাইবাড়ী, বাহাদুরাবাদ, ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি মানুষ রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়, একে মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ, বালুগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রসহ খোলাবাড়ি সড়কে আশ্রয় নিয়েছে।

২৮ জুন সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে চিকাজানী ইউনিয়নের উত্তর কাজলাপাড়া গ্রাম ভাঙ্গনের দৃশ্য।

চিকাজানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিন আহমেদ জানান, ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের ৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উত্তর কাজলাপাড়া গ্রামে সাইফুদ্দিন, ছোরহাব, আকতার মোক্তারের বসত বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে ১০টি পরিবার।

চুকাইবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম খান জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চুকাইবাড়ী ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দিহয়ে পড়েছে দুই হাজার পরিবার।

বাহাদুরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাকিরুজ্জামান রাখাল জানান, গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ৪ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

উপজেলার ডাংধরা, চর আমখাওয়া, হাতীভাঙ্গা, বাহাদুরাবাদ ইউনিয়নে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে জিঞ্জিরাম নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিচু এলাকায় বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। যার ফলে মরিচ ক্ষেত, রোপা আউশ ধান, পাট, কাউন ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।

বন্যার পানি বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে ভাঙ্গছে নদী। জিঞ্জিরাম নদীর ভাঙ্গনে অনেক পরিবার আজ অসহায়। পানির স্রোতের গতি বাড়ায় ডাংধরা ইউনিয়নে দক্ষিণ গোয়ালকান্দা গ্রাম, সানন্দবাড়ী সেতু পূর্বপাশে ভাঙ্গনে সেতু হুমকির মধ্যে, হাতীভাঙ্গা ইউনিয়নে দক্ষিণ কাঠারবিল গ্রাম নদী ভাঙ্গনে স্বীকার।

চর আমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান জানান, নদী ভাঙ্গনে আমাদের ক্ষতি যে হচ্ছে তার জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া জানান, বন্যা প্লাবিত এলাকার বানভাসি মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। ২৮ জুন সকালে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে পানি, সাবান, মাস্ক ও ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।

ভিডিও নিউজ


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top