কাজিপুর প্রতিনিধি : বৈধ সেচ সংযোগের নির্ধারিত এলাকায় অবৈধ উপায়ে নতুন সেচ সংযোগ প্রদানে বিপাকে পড়েছে বৈধ সংযোগ গ্রহিতা। প্রতিকার চেয়ে গত ফেব্রæয়ারি মাসে সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জিএম, ডিজিএম ও কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বৈধ সেচ সংযোগ গ্রহিতা শহিদুল ইসলাম। অদ্যাবাধী তিনি কোন প্রতিকার পাননি।
সরেজমিন গিয়ে ও অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, সোনামুখী ইউনিয়নের রৌহাবাড়ি গ্রামের মৃত শামসুল হকের পুত্র শহিদুল ইসলাম পনের বছর পূর্বে পানাসি প্রকল্পের আওতায় উপজেলা বিএডিসি অফিসের মাধ্যমে একটি সেচ সংযোগ নিয়ে সেচকাজ চালিয়ে আসছেন। সম্প্রতি তার স্কিমের আওতার মধ্যে সাড়ে সাতশ ফুট দূরত্বের নিয়ম না মেনে দুইশ ফুটের মধ্যে একটি সেচ সংযোগের জন্যে আবেদন করেন একই গ্রামের মৃত ছোলায়মানের পুত্র কামরুল ইসলাম। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, কাজিপুরে পানাসির (বিএডিসি) প্রকৌশলী গোলাম রব্বানী ও পল্লী বিদ্যুতের ইলেকট্রিশিয়ান পাইকপাড়া গ্রামের মাসুদ পরস্পর যোগসাজসে মাত্র দুইশ ফুট দূরত্বে সেচ সংযোগ প্রদানের কাগজ তৈরি করে তা পাস করিয়ে নেন। দ্রæততার সাথে সেখানে সংযোগও প্রদান করেন।
এ বিষয়ে পানাসির ( বিএডিসি) প্রকৌশলী গোলাম রব্বানী জানান, ‘ আমাকে দেখানো স্থানে সংযোগটি এখন নেই। এটি অন্যায়। তবে বিদ্যুতের লোকজন সংযোগ প্রদানের সময় এ বিষয়ে রিপোর্ট করতে পারতো। তারা তা না করে রাতের আঁধারে সংযোগ দিয়েছে।’
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২এর ডিজিএম আব্দুল্লাহ আলম মামুন জানান, ‘ আগে আমরা দূরত্ব দেখতাম। এখন সেচ কমিটির চেয়ারম্যান চিঠি ইস্যু করে নিষেধ করায় আর দেখি না। লাইসেন্স পেলেই সংযোগ দেই।’
‘ কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান,‘ অনেক সময় এক জায়গায় আবেদন করে পরে সংযোগ অন্যত্র সরিয়ে নেয়। এটা ঠিক নয়। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।