শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের বামতীর (পূর্বপাড়) স্থায়ী নদীর তীর সংরক্ষণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। দ্রুত তীর সংরক্ষণের কাজ না করা হলে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যেতে পারে ওই এলাকা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বন্দবেড় ইউনিয়নের ঘুঘুমারী এলাকা হতে ফুলুয়ারচর নৌকা ঘাট পযর্ন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের বামতীর (পূর্বপাড়) স্থায়ী নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ ৯টি প্যাকেজে মধ্যে ৫টি চলমান ছিল। জিও ব্যাগে বালুর পরিবর্তে কাঁদা-দোআশ মাটি ভরাট করাসহ ঠিকাদারের নানা অনিয়মের কারনে অভিযোগ উঠলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তীর সংরক্ষণ কাজটি বন্ধ করে দেয়। গত দুই সপ্তাহ থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের বামতীর (পূর্বপাড়) স্থায়ী নদীর তীর সংরক্ষণের কাজটি বন্ধ থাকায় ও নদের পানি তীব্র গতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় একেরপর এক বাড়ি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। নিঃস্ব হচ্ছে নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ।
ওই এলাকার জাহানারা, বেলাল, হাকু মিয়া, আবুল কালাম, রাশেদুল, একদেল আ: ছালাম, জয়নাল, সোহাগী খাতুন ও মাইদুলসহ অনেকেই বলেন, আমাদের বাড়ি নদীর কিনারে রয়েছে। তীর সংরক্ষনের কাজ শুরু না করলে বাড়িগুলো ভেঙ্গে যাবে। যারা এ কাজের বাধা দিয়েছে তাদের তো কোন ক্ষতি হবে না। ক্ষতি হবে আমাদের। তাই যতদ্রুত সম্ভব দ্বিধাদন্ধ ভুলে গিয়ে কাজটি চালু করার জন্য অনুরোধ করছি।
বন্দবেড় ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান জানান, মাননীয় প্রধানমান্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পেতে তীর সংরক্ষনের জন্য বরাদ্দ দিয়েছেন এবং কাজও শুরু হয়েছে। যেখানে জিও ব্যাগে বালু ভরাট করে ফেলানো হয়েছে সেখানে আর তীর ভাঙ্গছে না। তাই আমি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পূনরায় উক্ত কাজটি চলমান রাখার জন্য জোড় দাবী করছি।
এলাকাবাসী জয়নাল আবেদীন বলেন, যে ভাবেই হউক তীর সংরক্ষনের কাজ চলছিল। আমরা এলাকাবাসী কাজের কোন বাধা দেই নাই। কেবা কারা বাধা দিয়েছে। ফলে সরকারি ভাবে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। তাই কাজটি চালু করার জন্য উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।