
রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর পানি কমে বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অতিবর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ধুনট পয়েন্টে যমুনা নদীতে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৬৭সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।
তবে গত ২৪ ঘণ্টার হিসাব অনুযায়ী যমুনা নদীর পানি ৬ সেন্টিমিটার কমেছে। অন্যদিকে বাঙালি নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৭০সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে এবার বাঙালি নদী তীরবর্তী মানুষের মধ্যে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
শনিবার বিকেল ৩টার দিকে এ বিষয়টি কালের কন্ঠকে নিশ্চিত করেন বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান।
জানা গেছে, পানি বেড়ে যমুনা নদীর অববাহিকায় চরের গ্রামগুলো জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। বন্যাকবলিত লোকজন অনেকে পাকা স্কুল, সড়ক, বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট। যমুনা নদীর পানি বাড়ার কারণে উপজেলার ২ টি ইউনিয়নের ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যা দূর্গত এলাকায় পাট, ধানসহ ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। পানির প্রবল ¯্রােতে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, যমুনা নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৬ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। শনিবার বিকেল ৩টার হিসাব অনুযায়ী নদীর পানি ১৭ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে কিন্তু পানির উচ্চতা আগের দিনের চেয়ে ৬ সেন্টিমিটার কমেছে।
এছাড়া বাঙালি নদীতে বিপৎসীমা নির্ধারণ করা হয় ১৫ দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার। বর্তমানে এ নদীর পানি ১৫ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে কিন্তু তা ক্রমাগত বাড়ছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।