ফরিদুল ইসলাম ফরিদ, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সকল ইউনিয়ন গুলোতে যমুনা ও জিঞ্জিরাম নদীর পানি বিপদ সীমার অনেক উপর দিয়ে একযোগে প্রবেশ করায়, তৃতীয় বারে আবারও সকল বাড়ীঘর, রাস্তাঘাট পানির নিচে চলে যায়। মানুষের বাড়িঘরে পানি জমে থাকায় মানুষজন বাড়িঘর রেখে গরু বাছুর নিয়ে পাকা ও উচু রাস্তায় অবস্থান করে এবং সেখানেই চলে তাদের রান্নাবান্না এবং খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা। বন্যা কাল ক্ষেপণ হওয়ায় মানব খাদ্যের পাশাপাশি সংরক্ষণকৃত সকল গো খাদ্য শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে যোগার করতে ব্যর্থ হন ক্ষুদ্র খামারিগণ। এলাকার হাট বাজার গুলোতে পর্যাপ্ত তৈরী গো-খাদ্য মজুদ থাকলেও নগদ অর্থ হাতে না থাকায় ক্রয় করতে পারছেনা ক্ষুদ্র খামারি ও প্রান্তিক চাষিগণ।
কৃষক আবুল কাশেম জানান- বারবার বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে এলাকা প্লাবিত হওয়ায় পাট ফসল নষ্ট হওয়ার কারণে আমরা অর্থ সংকটে আছি, খড় বিচুলি যা কিছু ছিল সেগুলো পানিতে পঁচে শেষ। নতুন ধান বপন করতেও পারছিনা।
ক্ষুদ্র খামারি ফজলুল হক বলেন- বন্যার পানি কাল ক্ষেপণ হওয়ার কারণে গো-খাদ্য তীব্র সংকটে পরেছে, তাই সরকারি ভাবে কিছু শুকনো গো- খাদ্যের ব্যবস্থা করলে, আমরা ক্ষুদ্র খামারিরা উপকার পাইতাম।
সাবেক ভেটেরিনারি সার্জন রানীক্ষেত ভ্যাকসিন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আশরাফুল ইসলাম জানান- এলাকার সকল রাস্তার দুই পাশে পরিত্যক্ত, স্লপিং জায়গা গুলোতে নেপিয়ার বা জাম্বু ঘাস লাগালে সারা বছর গো খাদ্যের শতকরা ত্রিশ চল্লিশ ভাগ পুরণের পরও বন্যার সময় গো-খাদ্যে বিরাট ভুমিকা রাখবে, সেই সাথে রাস্তা নষ্টও কম হবে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।