উল্লাপাড়া প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার চয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিষয়ের সহকারি শিক্ষক রাবেয়া খাতুন রুবির বিরুদ্ধে শিক্ষাগত ও কারিগরি যোগ্যতার কম্পিউটার শিক্ষার সনদ জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের অডিট তদন্তে এমন অভিযোগের সত্যতা মিলেছে।
বিদ্যালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের অডিট তদন্তে জানা গেছে, গত ১৭ মার্চ- ২০১৮ ইং তারিখে ওই বিদ্যালয়ে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শক ভবেন্দ্রনাথ বাড়ৈ। তার প্রতিবেদনে কম্পিউটার শিক্ষা বিষয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক রাবেয়া খাতুন রুবির ইনডেক্্র নং-১০৩৮৫৯৬। জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি (নেকটার) সাবেক “নট্রামস” কতৃক সনদে সিরিয়াল নং- ১৭২০৭ ও রেজি নং- ১৮৩০৭ ধারণ করে ২০০০ সালে কম্পিউটার ডিপ্লোমা বিষয়ের উত্তীর্ণ সনদ দেখিয়ে কম্পিউটার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের সনদটি জাল ও ভুয়া বলে সন্দেহ করে অডিট কতৃপক্ষ।
পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের এক পত্রের আলোকে বগুড়া জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি নেকটারের পরিচালকের কার্যালয়ে রাবেয়া খাতুন রুবির কম্পিউটার বিষয়ের সনদটি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রেরণ করে শিক্ষা অধিদপ্তর। গত ১২/০৯/২০১৯ তারিখে এক পত্রের আলোকে নেকটার রাবেয়া খাতুন রুবির কম্পিউটার ডিপ্লোমা কোর্সের সনদটি যাচাই- বাছাই শেষে জাল ও ভুয়া সনদ বলে পত্র প্রেরণ করে অবহিত করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরকে।
রাবেয়ার জাল ও ভুয়া সনদের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তার এমপিও ভুক্তির ১ মে-২০০৯ ইং তারিখ হতে ৩০ সেপ্টেম্বর-২০১৯ ইং তারিখ পর্যন্ত রাবেয়ার গৃহিত সরকার প্রদত্ত ১৪,০৯,৬৫০ টাকা এবং উক্ত তারিখের পরে তার উত্তোলিত সব টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত প্রদানের নির্দেশ দিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক প্রফেসর অলিউল্লাহ মোঃ আজমতগীর স্বাক্ষরিত পত্র প্রেরণ করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে।
সহকারি শিক্ষক রাবেয়া খাতুন জানান, আমি ১৯৯৫ সালে বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ২০০০ সালে বগুড়ার সাবেক নট্রামসে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে সনদ অর্জন করি। পরবতীতে সেই সনদে এমপিও ভুক্ত হয়ে চাকরি করে আসছি।
প্রধান শিক্ষক শাহ আলম জানান, শিক্ষক রাবেয়ার বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি বিধি মোতাবেক তার বেতন ভাতাদি বন্ধ রাখার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এই ঘটনায় কেন তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে না মর্মে তাকে নোটিশও প্রদান করা হয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এস, এম জাহিদুজ্জামান কাকন বলেন, এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নিদের্শ দেয়া হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।