দেশে কভিড-১৯ সংকট কাটিয়ে চিংড়ি রপ্তানি বাড়ছে

S M Ashraful Azom
0
দেশে কভিড-১৯ সংকট কাটিয়ে চিংড়ি রপ্তানি বাড়ছে

সেবা ডেস্ক: বৈশ্বিক মহামারি নভেল করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) সংকটেও দেশের রপ্তানিতে চিংড়িসহ হিমায়িত ও জীবন্ত মাছের অবদান বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রথম মাস জুলাইতে এ খাত থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে চার কোটি ২৫ লাখ ডলার। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২.২১ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের জুলাই মাসে আয় হয়েছিল চার কোটি ১৬ লাখ ডলার।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এ সময় চিংড়ি রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে তিন কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ২৬৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া জীবন্ত মাছ রপ্তানি হয়েছে ১৩ লাখ ৬০ হাজার ডলারের। হিমায়িত মাছ রপ্তানি হয়েছে ৫৮ লাখ ২০ হাজার ডলারের।

মৎস্য রপ্তানিকারক সমিতির সূত্রে জানা যায়, করোনাকালে ২৯০টি ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে। সাধারণ সময়ের চেয়ে (ফেব্রুয়ারি-মে পর্যন্ত) রপ্তানি কম হয়েছে তিন হাজার টন। তাঁরা জানান, দেশের মোট চিংড়ি রপ্তানির ৮৫ শতাংশ যায় ইউরোপে এবং ১৫ শতাংশ যায় যুক্তরাষ্ট্রে।

এদিকে মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হিমায়িত মাছ রপ্তানি হয়েছিল ২৯ হাজার মেট্রিক টন। যার মূল্য ছিল দুই হাজার ২৯০ কোটি টাকা। অন্যদিকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ২৯ হাজার ৫৪০ মেট্রিক টন। যার মূল্য দুই হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। করোনাভাইরাসের কারণে দুই থেকে তিন হাজার মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদন কম হওয়ায় রপ্তানিতেও তার প্রভাব পড়ে।

এই বিষয়ে মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, গত অর্থবছরের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী পর্যাপ্ত চিংড়ি রপ্তানি করা যায়নি। তবে একক মাস হিসেবে জুনে বেশ ভালো রপ্তানি হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় জুলাইতে রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম ভালো ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তাঁরা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম আমজাদ বলেন, ‘চিংড়ি রপ্তানি আগের চেয়ে কিছুটা বাড়লেও সরকারের নীতি সহায়তা না পেলে সামনে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। এদিকে ইউরোপ এবং আমেরিকার ওপর নির্ভর করছে আমাদের বাজার। দেশগুলোতে এখনো হোটেল-রেস্টুরেন্ট আগের মতো খোলেনি।’

সামনে রপ্তানি আরো কমার আশঙ্কা করে তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে চিংড়ি চাষ কম হয়েছে। ফলে সামনে রপ্তানি আয় আরো কমবে। এ সময় নীতি সহায়তা না পেলে কৃষক এবং রপ্তানিকারকদের আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়া কঠিন হবে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার প্রণোদনা দিলেও উদ্যোক্তারা এই প্রণোদনার সুবিধা নিতে পারেনি। ব্যাংকিং জটিলতার কারণে তাঁরা উৎসাহ হারাচ্ছেন।’


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top