কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে নতুন "যমুনা উপজেলা" গঠনের দাবিতে উত্তাল চরের দেড়লাখ মানুষ।
![]() |
কাজিপুরের বিচ্ছিন্ন ছয় ইউনিয়ন নিয়ে "যমুনা উপজেলা"দাবিতে উত্তাল দেড় লাখ মানুষ |
প্রমত্তা যমুনা নদী দ্বারা বেষ্টিত এসব এলাকার সুবিধাবঞ্চিত মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করে আসলেও কোনো সরকার তাদের দাবি মেনে নেয়নি।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেলে কাজিপুরের নাটুয়ারপাড়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে "যমুনা উপজেলা" ঘোষণার দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এই সমাবেশের আয়োজন করেন চরের মনসুরনগর, নাটুয়ারপাড়া, খাসরাজবাড়ী, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর ও চরগিরিশ ইউনিয়নবাসীর দাবি বাস্তবায়নে গঠিত আহবায়ক কমিটি।
আরও পড়ুন:
সমাবেশে বক্তারা জানান, কাজিপুর উপজেলা ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে ৬টি ইউনিয়ন যমুনা নদীর পূর্বপাড়ে এবং বাকি ৬টি পশ্চিমপাড়ে। তবে পূর্বপাড়ের ৬ ইউনিয়ন মূলত বিচ্ছিন্ন। তাদের প্রধান যোগাযোগ মাধ্যম সরিষাবাড়ী উপজেলায় যাওয়ার জন্য যমুনা নদী পার করতে হয়, যা প্রায়ই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে থাকে।
এ অঞ্চলের প্রশাসনিক কার্যক্রম মূলত যমুনার পশ্চিমপাড়ে হওয়ায় এখানকার মানুষের জন্য সেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কৃষিপ্রধান এই অঞ্চলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব সংগ্রহ করলেও এখানকার মানুষ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও অন্যান্য সেবায় চরম বৈষম্যের শিকার।
এ অঞ্চলের জন্য প্রয়োজন একটি পৃথক প্রশাসনিক ইউনিট। তান নাম হবে "যমুনা উপজেলা" যা এখানকার মানুষের উন্নয়ন ও সেবার সুযোগ বাড়াবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কাদের, কবি আলতাফ হোসেন, প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম, কাজিপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।