নুরুল ইসলাম মোল্লা,বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সালমা আক্তার (১২) ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজার হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহটি বন্ধ করা হয়।
জানা গেছে, ব্র্যাক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ও বাট্টাজোড় ইউনিয়নের ফুলদহ পাড়া গ্রামের দুলাল মিয়ার শিশু কন্যা সালমা আক্তারের (১২) সঙ্গে পাশ্ববর্তী শ্রীবরদী উপজেলার গড়খোলা গ্রামের এক যুবকের বিয়ের দিন ধার্য করা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিয়ে উপলক্ষে সালমার বাবা দুলাল মিয়া সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। দুপুরে ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির বকশীগঞ্জ উপজেলা ব্যবস্থাপক রমিজা খাতুন উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে বকশীগঞ্জ ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে বাল্যবিবাহটি বন্ধের নির্দেশ দিয়ে দুলাল মিয়ার বাড়িতে পাঠান।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমীন তার কার্যালয়ের সুপারভাইজার সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী ও ব্র্যাক কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে বিয়ে বাড়িতে যান এবং মেয়ের বাবা দুলাল মিয়াকে ইউএনও’র কার্যালয়ে হাজির করেন।
পরে ইউএনও’র কাছে দুঃখ প্রকাশ করে তার মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে না দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়ে মুচলেকা প্রদান করেন দুলাল মিয়া।
এ সময় ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা মেয়েকে বাল্যবিবাহ না দেওয়ার শর্তে দুলাল মিয়ার পরিবারকে প্রশাসন থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।