রৌমারীতে থামছে না ভুয়া কাজির দৌরাত্ম

S M Ashraful Azom
0
রৌমারীতে থামছে না ভুয়া কাজির দৌরাত্ম

শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের রৌমাীর উপজেলায় ভুয়া কাজী সাখওয়াত হোসেন লিপনের বাল্য বিবাহসহ বিবাহ রেজিষ্ট্রির দৌরাত্য¡ বেড়েছে। ভ‚য়াকাজির খুটির জোড় কোথায়। তিনি বিভিন্ন এলাকায় গোপনে নকল কপিতে বিবাহ রেজিষ্ট্রি করেই চলছেন। নকল পাইতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা। এঘটনায় ২১ জুন নিয়োগ প্রাপ্ত কাজী সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের তদন্ত সাব রেজিষ্ট্রারকে দায়িত্ব দিলে তিনি যথা সময়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রায় ৭৫ দিন অতিবাহিত হলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান প্রতিবেদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিয়ে ফাইল বন্দি রেখেছেন। 

সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, সাবেক এমপি মৃত্যু গোলাম হোসেনের ছেলে সাখওয়াত হোসেন লিপন রৌমারী সদর ইউনিয়নের কাজী হিসেবে দাবী করে বিভিন্ন গ্রামে বাল্য বিবাহসহ বিবাহ রেজিষ্ট্রি করে আসছেন। তার বাড়িতে কাজী অফিস বানিয়ে বিবাহ রেজিষ্ট্রির কার্যক্রম চালাচ্ছেন। এসকল পরিবারের লোকজন সাখওয়াত হোসেন লিপনের কাছে বিবাহ রেজিষ্ট্রির নকল চাইতে গেলে তাদেরকে দেই দিচ্ছি বলে কালক্ষেপন করেন। পরে উপায়ন্তর না পেয়ে নিয়োগকৃত কাজী সাইফুলের কাছে নকল চাইতে যায় এবং সে নকল দিতে রাজি না হলে বিব্রতর অবস্থায় পড়ে ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন। বিবাহের রেজিষ্ট্রির নকল দিতে দেরি করায় মানুষের চাপের মুখে শৌলমারী ইউনিয়নের কাজি আব্দুল কাদেরের কাছ থেকে মাঝে মধ্যে নকল এনে দেন। নিকাহ রেজিষ্ট্রার বহি ও নকল সরকারি নিয়মনীতির বহির্ভুত ভাবে সরবরাহ করা হচ্ছে।

নিয়োগ প্রাপ্ত কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি গত ২০১৭ সালে আগষ্ট মাসে ৪নং রৌমারী সদর ইউনিয়নের সরকারি বিধি মোতাবেক কাজি হিসেবে নিয়োগ পাই। সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি মোতাবেক এলাকায় সাব কাজী নিয়োগ দেওয়া নিষেধ রয়েছে। তাই আমি কোন সাব কাজি নিয়োগ দেইনি। সাখওয়াত হোসেন লিপন নামের এক ব্যক্তি আমার অজান্তে অবৈধ ভাবে বিভিন্ন এলাকায় বাল্যবিবাহসহ বিবাহ রেজিষ্ট্রি করে আসছে। এ খবর বিভিন্ন ভাবে জানতে পেরে গত ২১ জুন অবৈধ ভাবে বিবাহ রেজিষ্ট্রি করার দায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছি। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২০ আগষ্ট উপজেলা সাব রেজিষ্ট্রিার অফিস কার্যালয়ে সাব রেজিষ্ট্রার অফিসার শহিদুল ইসলাম শুনানি গ্রহন করেন। এর পরেও সাখাওয়াত হোসেন লিপন বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে বাল্য বিবাহসহ বিবাহ রেজিষ্ট্রি করে আসছে, যেমন ১৫ নভেম্বর রৌমারী গ্রামের আসাদুলের মেয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়–য়া ছাত্রী আশু খাতুন (১২), ১১ নভেম্বর খাটিয়ামারী গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে খালেদা খাতুন খুশি (১৩), ২৮ অক্টোবর চর ইজলামারী গ্রামের ইউনুছ আলীর কন্যা আঁখি তারা (১৪)সহ অনেকেই। 

শুনানি গ্রহন ও প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়ে সাব রেজিষ্ট্রার অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের শুনানি গ্রহন করে যথারীতি গত ৩১ আগষ্ট ২০২০ ইং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।  

এব্যাপারে উপজলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি দ্রæত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 


শেয়ার করুন

-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top