জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা নদীতে ঝাপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়া ৩ জুয়াড়ির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের চর বসুরিয়া থেকে যমুনা নদীতে ভেসে উঠা ছানোয়ার হোসেন ছানু, ফজলুল হক ফজল ও টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর এলাকায় যমুনা নদী থেকে হাফিজুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজের তিন দিন পর ওই তিন জুয়াড়ির লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার দুর্গম চর বাসুরিয়ার যমুনা নদীর তীরে জুয়াড়ি আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে ‘ওয়ান টেন’ নামে জুয়ার আসর চলে আসছিলো। এ নিয়ে স্থানীয় অপর একটি গ্রæপের সঙ্গে জুয়ার আসরের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে বিরোধ বাধে। একপর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই গ্রæপের মধ্যে হামলা, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন জুয়াড়ি আব্দুল মান্নান। এ সময় ৩ জুয়াড়ি উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামের শামছুল হকের ছেলে ছানোয়ার হোসেন ছানু, গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের সাখারিয়া গ্রামের জমসের আলী খানের ছেলে হাফিজুর রহমান ও ভুয়াপুরের গবিন দাসি গ্রামের আব্দুল বারেক মন্ডলের ছেলে ফজলুল হক ফজল নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য যমুনা নদীতে ঝাপ দেন। এরপর থেকে ওই ৩ জনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। নিখোঁজের ২ দিন পর শনিবার দুপুর থেকে জামালপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরির দল চর বাসুরিয়া যমুনা নদীতে নিখোঁজ ওই ৩ জুয়াড়িকে খোঁজার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরে রবিবার দুপুরে যমুনা নদীতে তাদের লাশ ভেসে উঠে।
সরিষাবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) রাশেদুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীতে নিখোঁজ ৩ জুয়াড়ির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল সংগ্রহ করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ জামালপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।