কাজিপুর প্রতিনিধি: পরিবেশ অধিদপ্তরের নেই কোন ছাড়পত্র, জমি মালিকদের সাথে করা চুক্তির মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে, ভাটার ৩০০ মিটারের মধ্যে শহিদ এম মনসুর আলী আইএইচটি ভবন ও পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিস। তার পরেও চলছে ইট কাটার ধুম।
পাশের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মানুষের জমিজমা পোষা গুন্ডা বাহিনী দ্বারা জোর করে নিয়ে চলছে ভাটার মহাযজ্ঞ। এসব উল্লেখ করে সচেতন এলাকাবাসী রবিবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি দরখাস্ত দিয়েছেন। নানা দপ্তরেও তারা এর প্রতিকার চেয়ে দরখাস্ত দিয়েছেন।
ওই ভাটায় দখল করা ভূমির মালিকগণ লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন ‘ যমুনা’ নামের ওই ভাটা ২০১৫ সালে করিম নামের একজন শুরু করেন। সে সময়ে ভাটার মালিক কোন প্রকার সরকারি কাগজপত্র ছাড়াই এলাকাবাসিকে অনুরোধ করে জমির মালিকদের টাকা দিয়ে ভাটা পরিচালনা করেন। তিনি দুই বছর পূর্বে সিরাজগঞ্জের গোলাম মোস্তফা নামের একজনের নিকট এই ভাটা বিক্রি করেন। জমির মালিকদের সাথে থাকা চুক্তিনামা ছিলো সর্বশেষ এ বছরের জুন মাস পর্যন্ত। এরই মধ্যে সরকারি দুটি প্রতিষ্ঠান এই এলাকায় গড়ে ওঠে। সেইসাথে কলেজ, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রায় ১২ টি স্থাপনা ইটভাটার চারপাশে আধা কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। সকাল বিকালে ভাটার দুইশ মিটারের মধ্যে বসে গুরুত্বপূর্ণ বাজার। এছাড়া যমুনার ভাঙ্গনে বিলিন হওয়া শুভগাছা ও গান্ধাইল ইউনিয়নের বেশকিছু জনপদের মানুষের বাসস্থান ভাটার চারপাশ ঘিরে। এসব দিক বিবেচনা করে ভাটার মালিকের সাথে জমির মালিকগণ নতুন করে চুক্তি করতে অস্বীকৃতি জানান। কিন্ত ভাটা মালিক স্থানীয় কিছু দালালদের হাত করে জবরদস্তি করে ভাটার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কথা বলতে গেলে তার সন্ত্রাসীবাহিনী জোতদারদের নানা হুমকী ধামকি প্রদান করে।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) ওই ভাটায় সরেজমিন গিয়ে কথা হয় ভাটার ম্যানেজার মুক্তার রহমানের সাথে। তিনি জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র আছে। দেখতে চাইলে তিনি তা দেখাতে পারেননি। তবে তিনি জানান জমির মালিকদের সাথে মিটমাটের চেষ্টা চলছে।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, ‘মৌখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ভাটা মালিককে ফোন করে সর্তক করেছিলাম। এবার লিখিত অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার নায়েবকে পাঠিয়েছি। উনি রিপোর্ট করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।