রৌমারীতে ব্রীজের অভাবে ১০ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ

S M Ashraful Azom
0
রৌমারীতে ব্রীজের অভাবে ১০ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ


শফিকুল ইসলাম: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্ত ঘেষা জিঞ্জিরাম নদীর উপর একটি বাঁশের সাঁকো। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষকে প্রয়োজনের তাগিদে যেতে হয় হাট-বাজারে। বিকল্প রাস্তা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় কমল মতি স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের। স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই অঞ্চলের। আর এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রায় ১০ গ্রামের ২৫ হাজার মানুষের। মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালের দিকে সরেজমিনে গিয়ে এসব চিত্র দেখা ও তথ্য পাওয়া যায়।

যানা গেছে, উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া জিঞ্জিরাম নদীর দ্বারা বিচ্ছিন্ন খেয়ারচর, চুলিয়ারচর, আলগারচর, লাঠিয়ালডাঙ্গা, চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা, বাগানবাড়ী, বংশিরভিটা, বালিয়ামারী, নয়াপাড়া ও বিকরিবিলসহ ১০টি গ্রামের মানুষ, স্কুল, কলেজ শিক্ষার্থী, চাকুরিজীবী, এনজিও কর্মীসহ বর্তমান বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয়। উপজেলা শহর হতে প্রায় ২০ কি:মি দক্ষিণ প‚র্বাঞ্চলীয় সীমান্তঘেষা প্রত্যন্ত ওই ১০ গ্রাম। গ্রামের মানুষ দুর্ভোগের কারনে নিজ উদ্দ্যোগে জিঞ্জিরাম নদীর পাড়ের উপর চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা এলাকায় একটি নতুন হাটও বসিয়েছে।

প্রতিবছর বন্যার সময় দুর্ভোগ লাঘবে এলাকাবাসির উদ্যোগে স্বেচ্ছা-শ্রমে নিজস্ব অর্থায়নে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে পারাপার হয়। কিছু দিন পর সেই সাঁকোও নড়বরে নষ্ট হয়ে যায়। পরে চলাচলের উপায় হিসেবে নৌকা, কলাগাছের ভেলাসহ নানা উপায় নদী পারাপার হয়ে থাকে। কিন্তুু কত দিন এই বাঁশের সাঁকো। সেই সাথে অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় ওই অঞ্চলের কৃষক ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমনকি সীমান্তে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে অতিসহজে দ্রæত পুলিশ কিংবা বিজিবি ঘটনাস্থালে যেতে পারে না।

এব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসি আলহাজ¦ হাছেন আলী বলেন, আমরা অনেক কষ্টে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হই। যদি এখানে একটা ব্রিজ হতো আমরা বিভিন্ন ফসল বাজারে নিয়ে গিয়ে ন্যায্য মূল্য পেতাম এবং এলাকার স্কুল কলেজ পড়ুয়া  ছাত্র- ছাত্রী, ব্যবসায়ী চাকুরিজীবিদের যাতায়াতে সুবিধা হবে। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিম উদ্দিন জানায়, স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হতে যাচ্ছে কিন্তু আমাদের এ অঞ্চলে নদীর উপর ব্রিজের দাবী জানালেও আমাদের আকুতি কেউ শোনে না।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল জলিল বলেন, ওই অঞ্চলে ব্রিজের প্রয়োজন। তবে এবিষয়ে উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে এবং আশা করি ব্রিজ হবে।  

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি, বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ । তবে উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জনগণের স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


শেয়ার করুন

-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top