কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলছে। সেই সাথে দেখা দিয়েছে ঘন কুয়াশা আর হিমেল ঠান্ডা হাওয়া। দিনে সূর্য্যরে আলো উঠলেও তার তাপ অনেক কম। বিকেল থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহে কাহিল এ জনপদের মানুষ। সোমবার সকালে কুড়িগ্রাম ও তার আশে পাশে সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ফলে শিশু, বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী লোকজন রয়েছে চরম বিপাকে।
প্রচন্ড কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পরেছে ছিন্নমুল মানুষ। কৃষি শ্রমিক ও নি¤œ আয়ের সাথে যুক্ত শ্রমজীবীরা কনকনে ঠান্ডা আর হিমবায়ুর কারণে শ্রমজীবি মানুষরা অনেক কষ্টে পড়েছে। শহরের উপকণ্ঠে, বাঁধে এবং চরাঞ্চলে বসবাসরত মানুষজন তীব্র ঠান্ডায় অসহায়ভাবে জীবন যাপন করছে। একদিকে কাজের সংকট অপরদিকে মাটির বিছানায় সন্তানদেরকে নিয়ে জুবুথুবু অবস্থায় কাটছে তাদের দিন।
নদী ভাঙনের শিকার রিকসা চালক ইব্রাহিম আলী বর্তমানে কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে খোলা জায়গায় প্লাস্টিকের বস্তা টানিয়ে ঝুপড়ি ঘরে সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি জানালেন, ‘ মেম্বর-চেয়ারম্যানরা কোন খোঁজখবর নেয় না। শীতে কোন কম্বল পাইনি।
সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান রহিম আহমেদ রিপন জানান, কুড়িগ্রামে এবারের শৈত প্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে। সরকারিভাবে যেসব শীতবস্ত্র দেয়া হয়; সেটিও অপ্রতুল। মধ্যবিত্ত আর নি¤œ বিত্ত মানুষদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে শীতবস্ত্রের মূল্য হ্রাস করার দাবী জানান তিনি।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক সুবল চন্দ্র সরকার জানান, সোমবার সকালে কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি মাসে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে তিনি জানান।
এদিকে জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, জেলার জন্য বরাদ্দ ৩৫ হাজার পিচ কম্বল ৯ উপজেলায় বিতরণ হয়েছে।
এছাড়াও মন্ত্রণালয় হতে ৬লাখ করে ৯টি উপজেলায় ৫৪লাখ টাকা শীতবস্ত্র ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। শুকনা খাবার বরাদ্দ মজুদ রয়েছে ৯হাজার প্যাকেট এবং শীত মোকাবেলায় হতদরিদ্রের জন্য আরো এক লাখ কম্বল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।