ডা: জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার সুন্দর গ্রাম পুটিকাটা দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষার আলোক বাতি হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে। পার্শ্ববর্তী জেলা লালমনিরহাট সীমানাঘেঁষা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ শেষ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে জ্ঞানের প্রকৃত আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, ১৯৮৬ইং স্থাপিত এই বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আড়াই শতাধিক। শিক্ষক রয়েছেন ১৩ জন। একজন লাইব্রেরিয়ান, একজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর এবং কর্মচারী তিনজন কর্মচারী কর্মরত আছেন। করোনাকালীন সময় অনলাইন ক্লাস চালু রয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী এ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষা চলমান রয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব মোঃ আব্দুস সামাদের হাতেই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক রজনী কান্ত রায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। রজনী কান্ত রায় শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে ০৬/০৩/২০০৪ইং যোগদান করেন। বিদ্যালয়ের সুনাম ধরে রাখতে প্রধান শিক্ষককে সার্বিক সহযোগিতা করতে থাকেন সহঃ প্রধান শিক্ষক। ০৪/০৪/২০২০ইং প্রধান শিক্ষক রজনী কান্ত রায় অবসরে গেলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম। গত ০৭/১১/২০২০ইং বিধি মোতাবেক প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম।
বিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করতে কতিপয় ব্যক্তি অসাধু উদ্দেশ্য সফল করতে না পেরে বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করছেন। অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান বুলু বলেন- আমার বাবা এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তার অসুস্থ্য জনিত কারণে আমি এই প্রতিষ্ঠানের একবার এডহক কমিটির সভাপতি বর্তমানে পূর্ণাঙ্গ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। প্রধান শিক্ষক নিয়োগে কোন অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করা হয় নাই। প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধরে রাখতেই যোগ্যতার ভিত্তিতে সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলামকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। যারা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করতে চায়, তারা প্রকৃত অর্থে বিদ্যালয়ের শুভাকাঙ্খি নয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন- আমি এই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক, সহঃ প্রধান শিক্ষক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এর দায়িত্ব পালন করেছি। আমার সময়ে এই বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষা জীবন শেষ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রকৃত জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমার প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছেন তার প্রকৃত অর্থে বিদ্যালয়ের ভালো চান না।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।