সেবা ডেস্ক: ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলি (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, পুলিশ সদস্যদের যাকে সন্দেহ হচ্ছে তাকে ডোপটেস্ট (মাদকাসক্তি পরীক্ষা) করানো হচ্ছে। আমরা এরই মধ্যে ১০০ জনকে শনাক্ত ও অন্তত ৩০ জনকে ডোপ গ্রহণজনিত কারণে বরখাস্ত করেছি।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
রোববার বিকালে ডিএমপি হেডকোয়াটার্সে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, আমি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর পুলিশ লাইনে যাই। সেখানে কিছু পুলিশ সদস্যের মাদক সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে পারি। আমি পুলিশের কল্যাণসভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাদকের কুফল তুলে ধরে বক্তব্য দেই। পুলিশ সদস্যদের মাদক পরিহারের আহ্বান জানাই।
ডোপ টেস্ট কার্যক্রম আরো জোরদার ও আগামীতেও অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। তবে ডিএমপিতে ঢালাওভাবে ডোপটেস্ট করা হচ্ছে না।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের পরিকল্পনা ছিল ক্রাইম ভিক্টিমের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। কারণ পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তি অপরাধের শিকার হয়ে প্রাণ হারালে তার পরিবার নিদারুণ অসহায় হয়ে পড়ে। তাদের কোনো উপায় থাকে না। তাই আমার পরিকল্পনা ছিল ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ গাড়ি থেকে যে জরিমানা আদায় করে তার অন্তত ৩০ শতাংশ ক্রাইম ভিক্টিম পরিবারের জন্য বরাদ্দ করা, যাতে পুলিশ মানবিকভাবে পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে পারে।
মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ক্র্যাবের যেকোনো শুভ ও কল্যাণকর কাজে ডিএমপি সব সময় পাশে থাকবে। ডিএমপির কোন সদস্য সাংবাদিকদের সঙ্গে ইচ্ছা করে অন্যায় আচরণ করলে তাদের রেহাই দেয়া হবে না।
মতবিনিময় সভায় ক্র্যাবের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সভাপতি মিজান মালিক ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাবের যুগ্ম সম্পাদক হাসান-উজ-জামান, অর্থ সম্পাদক এমদাদুল হক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার আরিফ, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খান, কার্যনির্বাহী সদস্য গোলাম সাত্তার রনি ও মিন্টু হোসেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।