দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় এলজিইডি রাস্তার মাইলফলককে স্কুলের দিকনির্দেশনা সাইনবোর্ড হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সানন্দবাড়ী টু রৌমারী রাস্তা হারুয়াবাড়ী গ্রামে রাস্তার ২কিলোমিটার ২কিলোমিটার লেখা মাইলফলক মুছে হারুয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিকনির্দেশনা সাইনবোর্ড হিসাবে ব্যবহার করেছে স্কুলের প্রধান শিক্ষক। এক দিকে রাস্তার দুরত্ব বোঝার অসুবিধা, অপর দিকে দিকনির্দেশনা অনুযায়ী স্কুল না থাকায় সেখানে মিলছে জঙ্গল আর পুস্কুণী। এটা নিয়ে এলাকায় নানান মহলে চলছে কানা গোসা, আলোচনা সমালোচনা। একপর্যায়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম "প্রিয় সানন্দবাড়ী" ফেসবুক গ্রুপের প্রতিবাদ মুলক লাইভ করলে ফেসবুকে আলোচনা সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং এলাকায় আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হয়ে দাঁড়ায়। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়- রাস্তার মাইলফলকটিতে স্কুলের দিকনির্দেশনার ইঙ্গিত হিসাবে যে চিহ্ন দিয়েছে সেখানে রাস্তা বা স্কুল নেই আছে শুধু জঙ্গল, পরিত্যক্ত পুস্কনী আর গ্রামের মানুষের টয়লেট।
ডাঃ শাহজাহান সিরাজ বলেন- লেখার সময় আমি প্রতিবাদ করায়, উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক ব্যাঙ্গাত্বক ভাবে কটু কথা শোনান।
ডাংধরা ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মোঃ শহিদুর রহমান বলেন- মাইলফলকে দিকনির্দেশনা সাইনবোর্ড লেখার সময় আমি ছিলাম না, তবে এটা লেখা ঠিক হয়নি।
এব্যাপারে হারুয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহ জামাল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মুঠোফোনে জানান- সরকারি রাস্তার মাইলফলক সরকারি স্কুলের জন্য দিক নির্দেশনা সাইনবোর্ড লিখেছি, এতে কারও মাথা ব্যাথার কারণ নাই। তাছাড়া রাস্তার মাইলফলক গুলো প্রায় কোথাও দেখা যায়না।
সানন্দবাড়ী পিআইসি'র পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জোয়াহের হোসেন খান মুঠোফোনে বলেন- সরকারি রাস্তার মাইলফলক স্কুলের দিকনির্দেশনা মুলক সাইনবোর্ড হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন না। এটা অন্যায়। প্রয়োজন হলে রাস্তার সাইটে স্কুলের পক্ষ থেকে দিক নির্দেশনা সাইনবোর্ড তৈরি করতে পারেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।