সেবা ডেস্ক: জাতীয় বীমা দিবস আজ। ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, বীমা হোক সবার’ এই প্রতিপাদ্যে দ্বিতীয়বারের মতো সারাদেশে আজ এ দিবসটি পালিত হবে।
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিবসটির মূল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
দিবসটি উপলক্ষে গতকাল রোববার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডে যোগদানের মাধ্যমে বীমাকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। সরকার এ দিনটি স্মরণে প্রতিবছর ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি শোষণমুক্ত, স্বনির্ভর ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ গঠনে আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের সুবিধার্থে তিনি একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে দেশের সব বীমা কোম্পানিকে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং পরবর্তীতে দুটি কর্পোরেশনে একীভূত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের বীমাশিল্প আজ শক্ত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত।
তিনি আরো বলেন, সাধারণ জনগণই বীমাশিল্পের প্রাণ। তাই গ্রাহকের চাহিদা ও সন্তুষ্টিকে বিবেচনায় রেখে এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। গ্রাহকের বীমা দাবি যথাসময়ে পরিশোধ, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নীতিগুলো প্রতিপালন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বীমা সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি ও গ্রাহকবান্ধব সেবা প্রদানে এগিয়ে আসতে আমি বীমা সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেন, বীমা গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে স্টেট অব দ্য আর্ট টেকনোলোজি সম্পন্ন ইউনিফাইড ম্যাসিজিং প্ল্যাটফর্ম (ইউএমপি) পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্প, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের মতো বৃহৎ প্রকল্পগুলোর বীমা ঝুঁকি আবরণ ও পুনঃবীমা করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন বিশেষ অবদান রাখার পাশাপাশি বীমার প্রসার এবং বীমাশিল্পে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বীমা খাতও এই অগ্রযাত্রায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
জাতীয় বীমা দিবসের সার্বিক সাফল্য কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে তার স্মৃতি বিজড়িত আজকের এই দিনে বীমার শুভবার্তা দেশের সব নাগরিকের নিকট পৌঁছে যাক, দেশের সব মানুষ এবং সম্পদ বীমা সেবার আওতায় আসুক।
প্রসঙ্গত, করোনা মহামারি বিবেচনায় ১ ও ২ মার্চ বঙ্গবন্ধু বীমা মেলা-২০২১ বাতিল করা হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।