রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মথুরাপুর বাজার-মহিশুরা পাকা সড়কে জনদুর্ভোগ কোনো নতুন বিষয় নয়। দুর্ভোগের মধ্য দিয়েই এলাকার মানুষের চলাফেরা। তবে দুর্ভোগের সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বৃষ্টি। কোনটি রাস্তা আর কোনটি খানাখন্দ চেনার উপায় নেই। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি পাকা না কাঁচা সড়ক। পিচ উঠে কাদায় পরিণত হয়েছে। সড়ক দিয়ে হেঁটে চলার কোনো উপায় নেই। সড়কটির এই দশা প্রায় চার বছর ধরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মথুরাপুর বাজার থেকে মহিশুরা মাজার পর্যন্ত সড়কের দুরত্ব প্রায় চার কিলোমিটার। প্রায় এক দশক আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে সড়কটি পাকা করা হয়েছে। উপজেলার মথুরাপুর ও গোপালনগর ইউনিয়নবাসির যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি।
দীর্ঘদিন ধরে ভারী যানবহন চালাচল করায় সড়কটি ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে। এমন অবস্থা যে কেউ প্রথম দেখায় কাঁচা রাস্তা বলে ভুল বুঝতে পারেন।
সরেজমিন দেখা যায়, সড়কের অনেক জায়গায় খোয়া, বালু ও পিচের চিহ্নমাত্র নেই। বেরিয়ে পড়েছে মাটি। সড়কের ইটের টুকরোগুলো উঁচু-নিচু হয়ে আছে স্থানে স্থানে। সড়কজুড়ে পিচ ওঠা গর্ত। গাড়ি গেলে যেন ধুলাবালুর ঝড় ওঠে। আর বৃষ্টি হলে পানি জমে জলাবদ্ধতা। মাঝেমধ্যেই উল্টে যায় গাড়ি। পাকা সড়ক এখন কাদা সড়কে পরিণত হয়েছে। পথচারীরা খালি পায়ে সড়কে চলাচল করতে পারছে না। বিশেষত দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন মোটরসাইকেল চালকেরা। দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে তারা মোটরসাইকেল চালাচ্ছেন। সড়কের পাশের লোকজন ও ব্যবসায়ীদের পড়তে হয়েছে চরম ভোগান্তিতে।
স্থানীয় ধেরুয়াহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, সড়কটি এ এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষ চলাফেরা করে থাকেন। সড়কটির এমন অবস্থা হয়েছে যে বোঝার উপায় নেই সড়কটি কখনো কার্পেটিং করা হয়েছিল। বর্তমানে সড়কটি চলাচলের অযোগ্য। ফলে এ পথে চলতে ভয় হয়। তিনি দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই সড়ক সংস্কার কাজের টেন্ডার দেয়া হবে। আশা করছি, খুব দ্রুতই পাকা সড়কটি চলাচলের উপযোগী হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।